২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যে কারণে সৌদি আরবে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করল জার্মানি

সৌদি আরবে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করল জার্মানি। - সংগৃহীত

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশা না কাটা পর্যন্ত জার্মানি সৌদি আরবে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বার্লিনে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (সিডিইউ) একটি মিটিং শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল।

আঞ্জেলা মর্কেল রোববার বলেছেন, খাসোগির বিষয়টি নিয়ে এ অস্পষ্টতা যতদিন না কাটবে ততদিন পর্যন্ত সৌদি আরবে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ রাখবে জার্মানি।  এ পরিস্থিতিতে অস্ত্র রপ্তানি করা যেতে পারে না।

জার্মান অর্থমন্ত্রী পিটার আলতম্যায়ার বলেন, কি ঘটেছে আমরা তা জানতে চাই। আর তাই সরকার এ মুহূর্তে সৌদি আরবে আর কোনো অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো সবাই মিলে একটি যৌথ পদক্ষেপ নেওয়াটা আমার মতে জরুরি। কারণ, সব ইউরোপীয় দেশ একাট্টা হলে রিয়াদ সরকারের ওপর এর একটা প্রভাব পড়বে। কিন্তু আমরা রপ্তানি বন্ধ করলেও অন্য দেশগুলো যদি সে শূন্যস্থান পূরণ করতে থাকে তাহলে এতে কোনো কাজ হবে না।

গত ২ অক্টোবরে তুরস্কে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাসোগিকে হত্যাই করা হয়েছে বলে এতদিনে সরাসরি স্বীকার করেছে সৌদি আরব।

এর আগে কনস্যুলেট ভবনে ঢোকার পর থেকে খাশুগজি নিখোঁজ হওয়ার সময় থেকে সৌদি আরব নানা সময়ে নানারকম কথা বলে এসেছে। খাসোগি নিখোঁজের ব্যাপারে কিছু জানা নেই বলেও দেশটি এর আগে দাবি করেছে।
ঘটনার ১৭ দিন পর গত শনিবার কনস্যুলেট ভবনের ভেতরই খাসোগি নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি আরব। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল তাদের দেওয়া ঘটনার ব্যাখ্যা মেনে নেয়নি। এরপরের দু’দিন সৌদি আরব একাধিকবার তাদের বিবৃতি পাল্টেছে।

রোববার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুবাইর সরাসরি খাসোগি নিহত হয়েছেন জানিয়ে এ ঘটনাটিকে একটি ‘বড় ধরনের মারাত্মক ভুল’ বলে মন্তব্য করেন। তবে জুবাইর সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে বাঁচানোর চেষ্টা করে বলেন, তিনি কিছু জানতেন না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও (ইইউ) একই পথ অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি।

 

আরো দেখুন : খাসোগি বিষয়ে এরদোগান-ট্রাম্প ফোনালাপ
নয়া দিগন্ত অনলাইন; ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৫২
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান হত্যার শিকার সৌদি বিখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাসোগি বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের তথ্য অফিস এক বিবৃতিতে সোমবার একথা জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে তুর্কি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

বিবৃতিতে বলা হয়, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সব দিক পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন বলে একমত হয়েছেন এরদোগান ও ট্রাম্প।


খাসোগিকে সর্বশেষ দেখা যায় গত ২ অক্টোবর যখন তিনি ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে ঢুকেন।

কয়েকদিন অস্বীকার করার পর শনিবার সৌদি আরব খাসোগিকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলে যে, দূতাবাসের ভেতর একটি ঝগড়ার সময় তিনি মারা যান।

খাসোগির নিখোঁজ হওয়ার দিন দু’টি পৃথক বিমানে করে সৌদি কর্মকর্তাসহ ১৫ ব্যক্তি ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে আসেন বলে জানিয়েছে তুরস্কের পুলিশ সূত্র। তারা পরে তুরস্ক ত্যাগ করে।

তুরস্ক ও সৌদি আরবের যৌথ তদন্ত দল ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতের বাসভবনসহ দূতাবাসে তদন্ত পরিচালনা সম্পন্ন করেছে বৃহস্পতিবার।

প্রেসিডেন্ট এরদোগান রোববার বলেছেন যে, তিনি খাসোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মঙ্গলবার সংসদে তার দলের গ্রুপ মিটিংয়ে বক্তব্য রাখবেন।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, এ দু’নেতার টেলিফোন আলোচনায় যাজক এনড্রো ব্রুনসন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ এবং সিরিয়ার মানবিজ সমস্যা সমাধানে রোডম্যাপ প্রসঙ্গ ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement