২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বুলগেরিয়ার নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের পর হত্যা

সাংবাদিক
ভিক্টোরিয়া মারিনোভা - ছবি : সিএনএন

বুলগেরিয়ার একজন অনুসন্ধানী টেলিভিশন সাংবাদিককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর রুসে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার ৩০ বছর বয়সী সাংবাদিক ভিক্টোরিয়া মারিনোভার লাশ একটি পার্ক থেকে উদ্ধার করা হয় বলে রোববার জানিয়েছেন রুস আঞ্চলিক প্রসিকিউটর জর্জি জর্জিভ।

‘তার মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবি, চশমা এবং তার কাপড়ের কিছু অংশ নিখোঁজ রয়েছে’, জানান তিনি।

জর্জিভ জানান, তাকে মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত বিষয়ের সূত্রে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্লাদান মারিনভ পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানান যে, ওই সাংবাদিককে ধর্ষণও করা হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী বোইকো বোরিসভ আশা প্রকাশ করেন যে, এ ঘটনায় রহস্য অবশ্যই উদ্ঘাটিত হবে।

পুলিশ সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডটি তার পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট বলে মনে হচ্ছে না।

মারিনোভা রুসের প্রাইভেট টিভিএন টেলিভিশনের প্রশাসনিক পরিচালক ছিলেন এবং সম্প্রতি তিনি ‘ডিটেক্টর’ নামে একটি টকশো চালু করেছিলেন।

টকশোটির সর্বশেষ পর্ব প্রচার হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। ওই পর্বে বড় বড় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের বিষয়ে কিছু অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

টিভিএন টেলিভিশনের একজন সাংবাদিক এএফপিকে বলেন, এ ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় দেশটির রাজধানী সোফিয়ায় মারিনোভার স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

আরো পড়ুন :
হোয়াইট হাউজে সিএনএনের সাংবাদিক নিষিদ্ধ
বিবিসি, ২৭ জুলাই ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘অযথার্থ’ প্রশ্ন করার জেরে সিএনএনের একজন সাংবাদিককে নিষিদ্ধ করেছে হোয়াইট হাউজ। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক কেইটল্যান কলিন্স একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে তার আইনজীবী ও পুতিনের সফর বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। এ জন্য তাকে পরবর্তীতে রোজ গার্ডেনের অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধ করা হয়।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, ওই সাংবাদিক চিৎকার করে প্রশ্ন করছিলেন এবং যেতে বলার পরও ওই স্থান ত্যাগে রাজি হচ্ছিলেন না। ট্রাম্প অনেকবার সিএনএনকে ‘ভুয়া খবরের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। এমন কি সিএনএনের সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

বুধবার ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান জিন কদ জানকারের উপস্থিতিতে ট্রাম্পের এক অনুষ্ঠানে সিএনএনের প থেকে গিয়েছিলেন কলিন্স। তার ভাষ্য, তিনি ট্রাম্পের কাছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সফর স্থগিত হয়ে যাওয়া এবং সম্প্র্রতি ফাঁস হওয়া ট্রাম্পের আইনজীবীর অডিও রেকর্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। ট্রাম্প এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই রোজ গার্ডেনে অনুষ্ঠিত ট্রাম্প ও জানকারের অনুষ্ঠানে তাকে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়।

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে কলিন্সকে জানানো হয়েছে, তিনি ট্রাম্পকে যে প্রশ্ন করেছেন তা ওই অনুষ্ঠানের জন্য প্রাসঙ্গিক নয়। কলিন্স পরবর্তী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য নিষিদ্ধ হলেও সিএনএনের অন্য সাংবাদিকেরা সেখানে যেতে পারবেন।

সিএনএন এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এই ব্যবস্থা প্রতিক্রিয়ামূলক এবং মুক্ত ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের পরিপন্থী। সিএনএনের প্রতিদ্বন্দ্বী ফক্স নিউজও ওই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ট্রাম্প ফক্স নিউজের একনিষ্ঠ সমর্থক হলেও ফক্স নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট জে ওয়ালেস বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের অধিকার নিশ্চিতে আমরা দৃঢ়ভাবে সিএনএনের পাশে আছি।’

সাংবাদিক মারলে কী হয়?
কাজী খোরশেদ আলম, ৩১ আগস্ট ২০১৮
নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের প্রতিধ্বনি হিসেবে কাজ করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকেরা। কোনো সাধারণ মানুষ নির্যাতনের শিকার হলে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায়; কিন্তু যখন কারো কাছে ন্যায়বিচার না পান, তখন সাংবাদিকদের সেটা জানান। সাংবাদিকেরা তাদের কলমের মাধ্যমে নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের চিত্র জাতির সামনে তুলে ধরে ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যবস্থার চেষ্টা করেন। দুর্নীতি ও অপকর্মের চিত্র তুলে ধরে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলস পরিশ্রম করে যান, কিন্তু বিনিময়ে কী পান? বিশেষ করে মফস্বলের সাংবাদিকেরা কী পান? তাদের ভাগ্যে কী জোটে? কোনো কোনো সময় যে পত্রিকার জন্য তারা পরিশ্রম করে, সেই পত্রিকার কর্তৃপক্ষও তাদের পাশে থাকে না। তারা দুর্দিনে কাউকে কাছে পান না। হামলা-মামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন তাদের নিত্যসঙ্গী। সব কিছু মাথায় রেখে তারা দেশ ও জাতি এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যায়।

এখন প্রশ্ন হলো- সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী মারলে বা পেটালে অথবা হত্যা করলে কী হয়? তারা কি কখনো ন্যায়বিচার পান, তাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা আছে? তাদের পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা আছে? রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা কখনো কি তাদের নিরাপত্তার জন্য কখনো কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন? রাষ্ট্রের সহায়ক হিসেবে তারা কাজ করে যান, অথচ তাদের স্বীকৃতি নেই। তাই সময় এসেছে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় আইন করা। সব সাংবাদিকের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাবি তোলা উচিত, সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধিকার হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে প্রস্তাব উপস্থাপন করা। অন্যথায় কালে কালে, যুগে যুগে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীরা মার খেতে থাকবেন ও নির্যাতন এবং নিপীড়নের শিকার হবেন।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি নিজ বাসায় নির্মমভাবে খুন হলেন, কিন্তু আজো তার রহস্য উন্মোচন হলো না, রহস্যই রয়ে গেলে। তাদের হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশের সাংবাদিকেরা মানববন্ধন করলেন, প্রতিবাদ সভা করলেন, কিন্তু তা যেন রাষ্ট্র পরিচালকদের কানে গেল কি গেল না, তা অধরাই থেকে গেল। এখন সেই বিষয় নিয়ে কেউ আর মাথা ঘামান না। কারণ, মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। কিছু কিছু তেলবাজ তো রাষ্ট্রযন্ত্রের গোলামি শুরু করেছেন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য।

আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর প্রকাশ্য আদালতের চত্বরে হামলা হলো, আর মামলার তো শেষই নেই। আরেক সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদের মাথায়ও রয়েছে মামলার বোঝা। তারা অবশ্য সাংবাদিকদের জাতীয় পর্যায়ের নেতা। তাদের ওপর হামলা হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আলাপ-আলোচনা হয়। কিন্তু যারা মফস্বলের সাধারণ সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী- তাদের ওপর যখন হামলা হয়, মিথ্যা মামলা হয়; তখন প্রতিবাদ করার মতো কেউ থাকে না। প্রতিনিয়ত কোথাও- না- কোথাও সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীরা নির্যাতন এবং নিপীড়নের শিকার হন। হুমকি-ধমকির শিকার হন, মিথ্যা মামলার শিকার হন। কোনো দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলেই জুড়ে দেয় চাঁদাবাজির মামলা। পুলিশ অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করেই সাংবাদিককে হাতকড়া পরিয়ে টেনে টেনে জেলহাজতে নিয়ে যায়। কখনো বিচার-বিশ্লেষণ করে না; যারা এই পুলিশদের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করে- তাদের কিভাবে হাতকড়া পরিয়ে টেনে নিয়ে যায়। বিবেক বলতে কিছুই কি নেই?

হ্যাঁ! কিছু সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নামধারী রয়েছে, যারা চাঁদাবাজি করে থাকে- সেটা অবশ্য ব্যতিক্রম। প্রত্যেক পেশায় কিছু না কিছু দুষ্কৃতকারী থাকে। যারা সংশ্লিষ্ট পেশাকে কলুষিত করে। আমার উপজেলায়ও কিছু সাংবাদিক রয়েছে। যারা ফেরিওয়ালদের মতো। লাজলজ্জা বলতে কিছুই নেই। ইজ্জত-সম্মান মনে হয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন। এদের কথা বলে লাভ নেই। এরা যুগে যুগে মীরজাফরের ভূমিকায় ছিলেন এবং আগামীতেও থাকবেন। তাদের কাছে নিয়ম-নীতি বলতে কিছুই নেই। আমার জানা মতে, কোনো এক সাংবাদিককে সংশ্লিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান তার কর্মীবাহিনী দিয়ে আচ্ছামতো মারধর করেন। আমরা তার ওপর হামলার বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু করি। কিন্তু ওই বেহায়া রাতের আঁধারে লাজলজ্জার মাথা খেয়ে আপস করে। এই হলো সাংবাদিক নামধারী কিছু কীটপতঙ্গের দল।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা হামলার শিকার হন। কিন্তু পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যদিও হামলাকারীদের ছবি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। এই কার্যক্রম থেকে বোঝা যায়- সাংবাদিক মারলে কী হয়? কিছুই হয় না। বরং বিভিন্ন সময় দেখা যায়, সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নিপীড়নকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। তাই সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের নির্যাতন বন্ধ হয় না। ক্ষমতার দাপটের কাছে নীতিবাক্য অসহায় হয়ে যায়। সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা জরুরি।

লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বুড়িচং প্রেস ক্লাব, কুমিল্লা


আরো সংবাদ



premium cement
চীনের আনহুই প্রদেশের সাথে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ : ২ শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ, আহত ৫ রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬ প্রতিবাদ সমাবেশকারীদের গ্রেফতারের নিন্দা জামায়াতের ‘সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না’ ফরিদপুরে বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের অভিযোগে ৫ জন‌ আটক ঈশ্বরদীতে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ তীব্র তাপদাহে খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করল একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশন

সকল