বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতীয় হাইকমিশনারের মন্তব্য
- ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:০৩
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারত সুসময়ে ও দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা এবং ভারতীয় সেনারা এক সাথে যুদ্ধ করেছিলো এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যে রক্ত দিয়েছিলো। আর ওইটাই ছিল ভারতীয়দের জন্যে মহান গর্বের মুহূর্ত।
শ্রিংলা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী ভীত বপণ করেছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়েছে।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা রোববার রাত সাড়ে ৮টায় জেলার লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে শ্রী শ্রী দশ অবতার ও মনসা দেবীর মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রীংলা সকলকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা সবাই আমাদের উৎসবগুলো এক সাথে পালন করি।’
তিনি বলেন, এই পূজা আমাদের সবার জন্য, বাংলাদেশ ভারতের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, সুস্থ্য আনন্দ বয়ে আনুক। ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক চিরদিন অবিচ্ছেদ্য থাকুক এটাই আমাদের কামনা।
শ্রী শ্রী দশ অবতার ও মনসা দেবীর মন্দির কমিটির সভাপতি অসিত কুমার সাহার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের বিধান সভার জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও বিজেপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অরুন হালদার, নড়াইলের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় সংসদের নারী সদস্য রোকসানা ইয়াসমিন ছুটি, নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আব্দুল হান্নান রুনু।
এর আগে হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা রাত ৮টার দিকে দৌলতপুরে পৌঁছানোর পর তাকে শঙ্খ বাজিয়ে ও উলু ধ্বনি দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয়। পরে তিনি মন্দিরের উদ্বোধন করেন।
মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় দৌলতপুর গ্রামের তরুণ শিল্পপতি সৌমেন কুমার সাহার বাড়িতে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে।
তিস্তা চুক্তি না হলেও বন্দর সুবিধা পেতে যাচ্ছে ভারত
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না হলেও চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পেতে যাচ্ছে ভারত। অথচ এর আগে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টনে দিল্লি অপারগতা প্রকাশ করায় বন্দর দু’টি ভারতকে ব্যবহারের সম্মতিপত্র সই থেকে বিরত ছিল ঢাকা। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরের সময়ে দুই সরকারের চলতি মেয়াদেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই সরকারের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা ইস্যু তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটি ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনমনীয় মনোভাবের কারণে বছরের পর বছর ধরে অনিষ্পন্ন এই ইস্যুটি ঝুলে রয়েছে। এ কারণে তিস্তার ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষকে খেসারত দিতে হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এই দুর্ভোগ লাঘব হবেÑ এমন আশাও ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে।
ভারত তার ভূমিবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য বাংলাদেশের কাছ থেকে দীর্ঘ দিন ধরে ট্রানজিট চেয়ে আসছে। তিস্তার পানি বণ্টনে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য ট্রানজিটকে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে হাতে রেখেছিল বাংলাদেশ। ভারত বারবার বাংলাদেশকে বোঝাতে চেষ্টা করছে দুই দেশের সম্পর্ক কেবলমাত্র একটি ইস্যুবন্দী হয়ে থাকতে পারে না। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে উচ্চপর্যায়ে রয়েছে বলে দাবি করে ভারত ও বাংলাদেশ। এ জন্য তিস্তা ইস্যুতে নমনীয় হয়ে বাংলাদেশকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যান্য দিক নিয়ে অগ্রসর হতে হচ্ছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারে ভারতের সাথে চূড়ান্ত চুক্তি সই ও বিধি-বিধান (এসওপি) প্রণয়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া খসড়া চুক্তিটি চলতি মাসেই দিল্লিতে নৌপরিবহন সচিব পর্যায়ে সই হওয়ার কথা রয়েছে। এর পরপরই এসওপি চূড়ান্ত করা হবে। মতামতের জন্য খসড়া এসওপি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা