২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কাজে যোগ দিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

নিউজিল্যান্ড
মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কাজে যোগ দিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী - ছবি : দ্য গার্ডিয়ান

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও সদ্য জন্ম দেয়া শিশুর মা জাসিন্ডা আরডার্ন ছয় সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার আবারো তার কাজে যোগ দিয়েছেন।

কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি হলেন দ্বিতীয় বিশ্ব নেতা। এর আগে বেনজির ভুট্টো ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের দায়িত্ব পালনকালে সন্তানের জন্ম দেন। খবর এএফপি’র।

৩৮ বছর বয়সী এ প্রধানমন্ত্রীর সপ্তাহান্ত পর্যন্ত অকল্যান্ডের বাড়ি থেকেই কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে তিনি রাজধানী ওয়েলিংটনে চলে যাবেন।

গত সপ্তাহান্তে ফেসবুকে দেয়া এক বার্তায় আরডার্ন বলেন, ‘আমরা অনেক ভালো রয়েছি এবং এখন আমাদের কথা বলার কোনো সময় নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘কন্যা নেভকে দোলনায় বা ঠেলা গাড়িতে বারবার এপাশ-ওপাশ করানোর প্রয়োজন হওয়ায় আমার চলাফেরায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে হচ্ছে।’

আরডার্নের সঙ্গী এবং কন্যার বাবা ক্লার্ক গেফর্ড বাসায় থাকার পরিকল্পনা করছেন। কেননা, তিনিই হচ্ছেন তাদের কন্যার প্রধান শুশ্রুষাকারী।

উল্লেখ্য, লেবার পার্টির দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র তিন মাস পর অক্টোবরে তিনি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন। আর এ বছরেই শিশুর জন্ম দেয়ায় আরডার্নের জন্য বছরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন :
কন্যাসন্তানের মা হলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
এএফপি, ২২ জুন ২০১৮
কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি অকল্যান্ড হাসপাতালে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। মা ও সন্তান দুইজনেই সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়েছে।

গত বছর সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে জাসিন্ডার দল লেবার পার্টি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। ওই নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেনি। পরে নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টির নেতা উইনস্টন পিটারের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন জাসিন্ডা আরডার্ন।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ৬টায় স্বামী কার্ক গেফোর্ড ও নবজাতক সন্তানকে নিয়ে হাস্যোজ্জ্বল একটি সেলফি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেন ৩৭ বছর বয়সী জেসিন্ডা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমাদের জগতে পিচ্চিটাকে স্বাগতম।’ তিনি অকল্যান্ড সিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ জানান।

১৮৫৬ সালের পর দেশটির ইতিহাসে জাসিন্ডাই সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ছয় দিন আগে তিনি তার গর্ভধারণের কথা জানতে পারেন। সেসময় বিবিসিতে দেয়া এক সাাৎকারে তার উচ্ছ্বাসের কথা জানান।

জেসিন্ডা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নতুন মা-বাবা হওয়ার পর অন্যদের যেমন অনুভূতি হয় তেমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমরাও যাব।


আরো সংবাদ



premium cement