১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাশিয়ায় ট্যাঙ্ক ব্যাটল গেমস, সামরিক শক্তির শ্রেষ্ঠত্ব দেখাবে ২৩টি দেশ

রাশিয়ায় ট্যাঙ্ক ব্যাটল গেমস, সামরিক শক্তির শ্রেষ্ঠত্ব দেখাবে ২৩টি দেশ - সংগৃহীত

রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক ট্যাঙ্ক ব্যাটল গেমস অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ২৩টি দেশ এ ইভেন্টে অংশ নিয়ে তাদের সামরিক শক্তির শ্রেষ্ঠত্ব দেখাবে।

 ট্যাঙ্ক ব্যাটল গেমস হচ্ছে সামরিক বাহিনীর একটি ক্রীড়া ইভেন্ট এবং এটি চালু করেছে রাশিয়া। এতে ট্যাঙ্ক ক্রুরা ট্রেনিং কমপ্লেক্স ব্যবহার করে থাকেন এবং গেমসে তারা তাদের ট্যাঙ্ক চালানোর দক্ষতাসহ নিখুঁত নিশানায় গোলাবর্ষণ এবং ট্যাঙ্ক চালানোর মধ্যেই দ্রুত গোলাগুলি বর্ষণের নৈপুণ্য দেখাবেন।  

তিনটি পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা শেষ হবে এবং ট্যাঙ্কগুলোকে ছয় থেকে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে।  প্রথম পর্যায়ে ১,৮০০ মিটার, ১,৭০০ মিটার এবং ১,৫০০ মিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে গোলাবর্ষণ করতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে এন্টি- ট্যাঙ্ক মর্টার স্কোয়াড এবং ইফেন্ট্রি ইউনিট গোলাবর্ষণ করবে। এসব লক্ষ্যবস্তু ৬০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে থাকবে।

গেমসের তৃতীয় পর্যায়ে ট্যাঙ্কের ক্রুরা এন্টি- ট্যাঙ্ক গান এবং এটিজিএম ইউনিট ১,২০০ মিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে ভারী মেশিনগান ব্যবহার করবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে অংশ নেয়া ট্যাঙ্কগুলোকে নানা রকম বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে।

ট্যাঙ্ক ব্যাটল গেমস অংশ নিতে ইরান ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়াযান পাঠিয়েছে। আন্তর্জাতিক এ ইভেন্টে ইরানি দলের নেতৃত্ব দেবেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়াজোউল্লাহ জামশিদি।

নিজস্ব প্রযুক্তিতে উন্নত ট্যাঙ্ক বানাচ্ছে ইরান

১৯ জুলাই ২০১৮

ইরানের সামরিক বাহিনীকে আরো ৮০০ ট্যাংক সরবরাহ করা হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব ট্যাঙ্ক আইআরজিসি এবং ইরানের সেনাবাহিনীকে দেয়া হবে। এর মধ্যে ইরানের বিখ্যাত কারার ট্যাঙ্কও থাকবে।

ইরানের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজা মোজাফফারি-নিয়া বুধবার বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজকে একথা জানান। তিনি জানান, সেনাবাহিনী এবং আইআরজিসি’র চাহিদা পূরণের জন্য ইরান প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০টি ট্যাঙ্ক তৈরি করে।

গত বছরের মার্চ মাসে ইরান উন্নতমানের কারার ট্যাঙ্কের উদ্বোধন করে। উভচর শ্রেণির এ ট্যাঙ্ককে ইরানি প্রতিরক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হোসেইন দেহকান বলেছিলেন- গোলাবর্ষণের ক্ষমতা, নিখুঁতভাবে গোলা নিক্ষেপ এবং চলাচলের ক্ষমতার কারণে এ ট্যাঙ্ক বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ট্যাঙ্কের অন্যতম। এতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয় এবং ট্যাঙ্কটি দিনে ও রাতে সমানভাবে কাজ করতে পারে।

কারার হচ্ছে ইরানে তৈরি প্রথম ট্যাঙ্ক যার পুরোটাই নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। এতে রয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ফায়ার কন্ট্রোল ব্যবস্থা, লেসার রেঞ্জফাইন্ডার এবং ব্যালিস্টিক কম্পিউটার অ্যান্ড অ্যাবিলিটি। এ ট্যাঙ্কের সাহায্যে রাতে ও দিনে একইভাবে অভিযান চালানো যাবে। এছাড়া, এ ট্যাঙ্ক গর্ত, নদী এমনকি পানির নিচ দিয়ে চলতে পারবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান সামরিক খাতে বিপুল অগ্রগতি লাভ করেছে। ইরানের প্রতিরক্ষা বিভাগের তৈরি নানা ধরনের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম এরইমধ্যে বিভিন্ন মহড়ায় পরীক্ষা করা হয়েছে। গত বছরের এপ্রিল মাসে ইরান আকারেব নামে একটি নতুন ধরনের যুদ্ধট্যাঙ্ক উদ্বোধন করে। এ ট্যাঙ্কে ৯০ মিলিমিটারের কামান বসানো হয়েছে এবং চারজন সেনা বহন করতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement