২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অবরুদ্ধ রাশিয়া, কী করবেন পুতিন?

অবরুদ্ধ রাশিয়া, কী করবেন পুতিন? - ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়াকে আমেরিকা আগ্রাসনের জন্য অভিযুক্ত করে। কিন্তু তাদের সামরিক বাহিনী দিন দিন রুশ সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমনটাই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। তিনি বলেন, কেন মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো রুশ সীমান্তের দিকে এগিয়ে আনা হচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।

শোইগু বলেন, রুশ সীমান্তে দিকে মার্কিন সেনাদের এই অগ্রসর হওয়াকে মিত্রদের কাজ বলে গণ্য করার সুযোগ নেই বরং মার্কিন আধিপত্য বিস্তারের পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে মস্কো।

ইতালির একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সের্গেই শোইগু এসব কথা বলেন। তার এই সাক্ষাৎকার আজ শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মার্কিন সরকার ইউরোপের দেশগুলোতে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে তা সরাসরি ‘ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্স ট্রিটি’র লঙ্ঘন। তিনি বলেন, এসব ব্যবস্থা থেকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের দিকে টোমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে। আমেরিকার পক্ষ থেকে চুক্তি লঙ্ঘনের কথা মস্কো আন্তর্জাতিক সব ফোরামে তুলে ধরেছে বলেও তিনি জানান।

আরো পড়ুন :

থেরেসার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে বাধা হতে পারে : ট্রাম্প
গার্ডিয়ান 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার নমনীয় ‘ব্রেক্সিটে’র (ইইউ থেকে ব্রিটেনের প্রস্থান) ফলে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা মাটি হয়ে যাবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। 

ট্রাম্প আরো বলেন, ব্রেক্সিট দরকষাকষি নিয়ে তার দেয়া পরামর্শ থেরেসা মে অগ্রাহ্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন যদি প্রস্থানের বিষয়ে ইইউর সঙ্গে নমনীয় চুক্তি করে, তাহলে আমরা বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে কার্যত ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনা করব না; কারণ সেটা হয়ে যাবে অনেকটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার সমতুল্য। ফলে এ কারণে সম্ভবত চুক্তি মাঠে মারা যাবে। আমি আসলে থেরেসা মেকে বলেছিলামও তার কী করা উচিত, কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেননি।’

এর আগে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্র বলেছিল, নমনীয় চুক্তি হলে যুক্তরাজ্যের ওপর অনেক বিষয়েই কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইইউর। ব্রাসেলসের সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠতা থাকলে ব্রিটেন-যুক্তরাষ্ট্র আন্তঃআটলান্টিক বাণিজ্য চুক্তি অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে।

৯ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট পরিকল্পনার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপের ২৭ দেশের জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে এখনো মতবিরোধ মেটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন থেরেসা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘ব্যবসাবান্ধব’ ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন থেরেসা। তবে এতে সায় না থাকায় পদত্যাগ করেছেন তার চরম রক্ষণশীল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস। এই ইস্যুতে অপেক্ষাকৃত উদারদের সঙ্গে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে কট্টর রক্ষণশীলদের। ফলে পার্লামেন্টে তার আস্থা ভোটের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পও চুক্তি বাতিলের ব্যাপারে আভাস দিলেন। 

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন থেরেসা মে ও বরিস জনসন। এখনো জনসনকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের মধ্যে এই পদের অন্যতম দাবিদার ভাবা হয়। এ ছাড়া লন্ডনের লেবার দলীয় মেয়র সাদিক খানের সঙ্গে আগের তিক্ততা আরো নতুনভাবে নিয়ে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার বক্তব্যÑ সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে লন্ডন মেয়রের পারফরম্যান্স বেশ শোচনীয়। তার আরেক বিস্ফোরক মন্তব্য ছিল অভিবাসন নিয়ে। তিনি মনে করেন, ‘লাখ লাখ মানুষকে ইউরোপে প্রবেশ করতে দেয়াটা’ উচিত হয়নি। তিনি এর সঙ্গে লন্ডনে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন। এটি সামাল দিতে সাদিক খানের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement