২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেক্সিকোর কয়েকজন ফুটবলভক্ত মস্কোয় ফুটপাতে গাড়িচাপায়

মেক্সিকোর কয়েকজন ফুটবলভক্ত মস্কোয় ফুটপাতে গাড়িচাপায় - সংগৃহীত

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় ফুটপাতে পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দেয়ার ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্য মেক্সিকোর কয়েকজন ফুটবলভক্ত রয়েছেন। তবে আহত ব্যক্তিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানা গেছে।

মস্কোর কেন্দ্রে জনাকীর্ণ একটি ফুটপাতে একটি ট্যাক্সি তুলে দেন এক চালক। পথচারীদের ওপর দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন চালক। তবে কয়েকজন পথচারী তাকে আটকে ফেলেন।

মস্কো পুলিশের ভাষ্য, ২৮ বছর বয়সী ওই চালক কিরগিজস্তানের বাসিন্দা। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

পুলিশকে ওই চালক বলেছেন, দুর্ঘটনার আগে তিনি ২০ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালিয়েছিলেন। পরে ভুলে ব্রেক চাপার বদলে অ্যাকসিলেটর চেপে বসেন। মানুষ তাকে মেরে ফেলতে পারে ভেবে তিনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন।

তবে প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। চালক ইচ্ছাকৃত এটা ঘটিয়েছেন। রাস্তায় জ্যাম ছিল এবং গাড়ির গতি কম ছিল। কীভাবে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে?

নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তা বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।

মস্কো ছাড়লেন বহিষ্কৃত মার্কিন কূটনীতিকেরা
এএফপি ও তাস

রাশিয়ার বহিষ্কার করা যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ কূটনীতিকের প্রথম দলটি বৃহস্পতিবার মস্কোতে থাকা ওয়াশিংটনের দূতাবাস ছেড়ে চলে গেছেন। মার্কিন কূটনীতিকদের রাশিয়া ত্যাগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল মস্কো। প্রত্যদর্শীরা মার্কিন কূটনীতিকদের দূতাবাস ছাড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। 

য্ক্তুরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো থেকে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতেই ৬০ মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। একই সাথে দেশটির সেন্ট পিটার্সবার্গে মার্কিন কন্স্যুলেট বন্ধেরও নির্দেশ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার অনেক মার্কিন কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা তিনটি বাস ও একটি মিনিবাসে করে দূতাবাস ত্যাগ করে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন। ভোর ৪টায় সময় ওই কূটনীতিকদের জন্য কয়েকটি যানবাহন দূতাবাসস্থলে এসে পৌঁছায়। সকাল ৭টায় কূটনীতিকদের একাংশকে নিয়ে সেগুলো দূতাবাস ছেড়ে যায়।

রাশিয়ার সাবেক এক গুপ্তচর ও তার মেয়েকে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস (নার্ভ এজেন্ট) প্রয়োগ করে হত্যা চেষ্টা চালানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কের জের ধরে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এসব মার্কিন কূটনীতিকে বহিষ্কার করা হলো। সাবেক রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়ের ওপর রাসায়নিক হামলার ঘটনায় রাশিয়াকে দায়ী করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব।

রাশিয়া উল্টো দাবি করেছে, রাশিয়াবিরোধী উত্তেজনা উসকে দিতে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাই ওই হামলা করেছে। ক্রেমলিন অভিযোগ অস্বীকার করে এলেও তা নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাজ্য ওই রাসায়নিক হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ইইউভুক্ত দেশগুলোর প্রতি রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কারের আহ্বান জানায়। এতে সাড়া দিয়ে ইইউভুক্ত কয়েকটি দেশের সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রও রুশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কূটনীতিক বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু করে।


আরো সংবাদ



premium cement