১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নায়ক রাজকে উৎসর্গ করে বাংলোর নামকরণ

-

নায়ক শব্দটি উচ্চারণ করতেই যার চেহারা আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে তিনি আমাদের নায়করাজ রাজ্জাক। হঠাৎ করেই যখন তিনি আমাদের সবাইকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান, সেই সময়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সংগঠনগুলো নায়করাজের নামকরণ করে অনেক কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলোÑ নায়করাজের নামে সড়ক করা কিংবা নায়করাজের নামে বিএফডিসির কোনো একটি ফোর করা। আবার কেউ কেউ তার চেয়েও বেশি কিছু করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই সময়। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও নায়করাজকে ঘিরে কিছুই করা হয়নি। অবশ্য তাতে তার পরিবার কোনোরকম মনোক্ষুণœœ হয়নি। কারণ জীবদ্দশায়ই নায়করাজের পরিবারকে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। আর মরণের পর কী হবে না হবে তা নিয়ে একেবারেই চিন্তিত ছিল না নায়করাজের পরিবার। তবে গত একুশে ফেব্রুয়ারি নায়করাজের স্ত্রী ও নায়করাজের বড় ছেলে বাপ্পারাজ শ্রীমঙ্গলের রাধানগরে গিয়েছিলেন ‘হারিমেটেজ গেস্ট হাউজ’-এ। সেখানে গিয়ে নায়করাজ পরিবার বেশ বিস্মিতই হলেন। কারণ সেখানে ছয় মাস আগে গেস্ট হাউজটির কর্ণধার আইনজীবী সুলতানা ফাইজুন্নাহার নির্মিত নতুন বাংলোটি নায়করাজ রাজ্জাককে উৎসর্গ করেন। উৎসর্গ পত্রে লেখা আছে ‘নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণেÑ যিনি এই পর্ণকুটিরে একাধিকবার পদধূলি দিয়েছেন’। নিজের বাবার নামে বাংলো উৎসর্গ দেখে অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন বাপ্পারাজ। বিষয়টি নিয়ে তিনি এতটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন যে, বারবার চোখের জল ফেলছিলেন। বাপ্পারাজ বলেন, ‘আমি, আমার পরিবার শ্রদ্ধেয় সুলতানা ফাইজুন্নাহার আন্টির কাছে ভীষণ কৃতজ্ঞ। আমরা এমনিতেই ক’দিনের জন্য সেখানে বেড়াতে গিয়েছি। কিন্তু সেখানে গিয়ে এতটা ভালোবাসা আর মায়ার জালে জড়াব, ভাবতেও পারিনি। আব্বা চলে যাওয়ার পর অনেকেই অনেক কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বুঝতে পেরেছিলাম, কিছুই হবে না। দিন যাচ্ছে, সময় যাচ্ছে। আমার সেই ধারণা সত্যি হচ্ছে। কিন্তু আমার সেই ধারণা একজন সাধারণ মানুষের কাছে মিথ্যা হয়ে গেল। আমরা ফাইজুন্নাহার আন্টির ভালোবাসার কাছে হেরে গেলাম, ঋণী হয়ে গেলাম তার কাছে। আব্বার প্রতি তার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা দেখে সত্যিই চোখে পানি চলে আসছিল বারবার। আম্মাও আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেন।’ সুলতানা ফাইজুন্নাহার বলেন, ‘আমার প্রিয় নায়ক নায়করাজ রাজ্জাক। পেশায় আমি একজন আইনজীবী হলেও বেশ কয়েক বছর ধরে আমি এই গেস্ট হাউজটি নিয়েই ব্যস্ত। সর্বশেষ যখন আমার প্রিয় নায়ক এখানে এসেছিলেন, তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন; তিনি আবার আসবেন। কিন্তু আর তার আসা হলো না। তখন আমি খুব কষ্ট পাই। তাকে মনের মতো করে রান্না করে খাওয়াতে পারিনি, ঠিকমতো সময় দিতে পারিনি। আমার ভেতর হতাশা কাজ করছিল। তাই একসময় তার প্রতি ভীষণ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা থেকেই নতুন বাংলোটি আমি তাকে উৎসর্গ করি। আমি আমার নিজের মনের শান্তির জন্যই এটি করেছি। আল্লাহ নায়করাজকে বেহেশত নসিব করুন।’
ছবি : শাহাদ হোসেন সবুজ


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ : রাশিয়া পিকআপচালককে হত্যা করে রেললাইনে লাশ ফেল গেল দুর্বৃত্তরা এক মাস না যেতেই ভেঙে গেলো রাজকীয় বিয়ে! ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭ নোয়াখালীতে মেলায় সংর্ঘষ নিহত ১ কবরস্থান থেকে বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উন্মোচন : পুত্রবধূ ও নাতনি গ্রেফতার মিরসরাইয়ে বজ্রপাতে কৃষকের তিন গরুর মৃত্যু

সকল