রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রতি আমার দুর্নিবার আকর্ষণ

নাহিদা আফরোজ সুমি একজন দর্শকপ্রিয় উপস্থাপিকা। হয়েছেন গানের ভিডিওর মডেলও। তবে অভিনয়ের আগ্রহও আছে তার। অথচ তার স্বপ্ন ছিল গানের ভুবনে কোনো একদিন রাজত্ব করার। কিন্তু সে স্বপ্ন এখনো অধরাই রয়ে গেছে।
তার সাথে কথা বলেছেন সাকিবুল হাসান
গানের ভূবন থেকে হঠাৎ একটু দূরে সরে যাওয়া কেন?
Ñ ২০০৮ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে অনার্স পড়াশোনা করার সময়ে আমার বাবা আলাউদ্দিন আহমেদ মারা যান। পরিবারে মা রওশন আরা আহমেদ এবং একমাত্র ভাই রাসেলকে নিয়ে যেন এক অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি হয়ে পড়েছিলাম তখন। কিন্তু নিজের মনকে শক্ত করে পরিবারের হাল না ধরতে পারলেও নিজের খরচের টাকার জোগানের চেষ্টায় মগ্ন হয়ে গেলাম। সেই সময় আমি জয়ধ্বনি সাংস্কৃতিক সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নানা ধরনের সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতাম। এভাবেই চলছিল জীবনের সাথে আমার যুদ্ধ।
তার পর তো রেডিওতে কাজ করেছেন। সে অভিজ্ঞতা কেমন?
Ñ একসময় ফোন এলো ঢাকা এফএম থেকে। নতুন উপস্থাপক হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়ে গেলো সেখানে। আর এখানে টানা কাজ করতে গিয়ে এবং জীবনের প্রয়োজনে গান থেকে দূরেই সরে আসতে হলো। বিরতি নিতে হলো অনার্স পরীক্ষায়।
তারপর যুক্ত হলাম কালারস রেডিওতে একজন আরজে হিসেবে। সেখানেই কাজ করছি। ছয় বছর ধরে।
উপস্থাপনায় নিজেকে এমনভাবে জড়িয়ে নিলেন, তার মানে প্রেমে পড়ে গেলেন উপস্থাপনার?
Ñ বলতে পারেন একরকম। আর এ কারণেই বহু দূরে সরে গেলাম গান থেকে। রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রতি আমার দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে একজন রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এবং জীবন নির্বাহ করা অনেক কঠিন বিষয়। তাই গান থেকে দূরে সরে এসে উপস্থাপনাতেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি।
এখন কর্মজীবন কেমন চলছে?
Ñ উপস্থাপনা আমি ভীষণ উপভোগ করছি। শুরু থেকেই উপস্থাপনার প্রতি এতটাই প্রেম জেগেছে মনের ভেতর যে জীবনের এই পর্যায়ে এসে আর অন্য কোনো কিছুই পেশা হিসেবে নেয়ার বিকল্প ভাবিও না আমি। আমি মনেপ্রাণে চাই উপস্থাপনা করেই যেন জীবন পার করে দিতে পারি। কারণ উপস্থাপনা জীবনের অন্য এক দুনিয়া। মানুষকে নানাভাবে জানার বোঝার এ এক অন্য প্রক্রিয়া। তা ছাড়া উপস্থাপনাতে আমি ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধও করি।’
হুমায়ূন আহমেদের রূপা চরিত্রটি নিয়ে যদি কখনো নাটক নির্মাণ করা হয় তাহলে আহসান হাবিব সেই চরিত্রের জন্য সুমির কথাই ভেবেছেন। এ বিষয়টি সম্পর্কে কতটুকু জানেন?
আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর থেকে রূপা চরিত্র নিয়ে আমিও স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি। হয়তো কোনো একদিন এই স্বপ্ন পূরণও হয়ে যেতে পারে। এরই মধ্যে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে ইউসুফ ও আনিকার গাওয়া ‘কোথা কেউ নেই’ গানে মডেল হয়েছি আমি। ইউসুফ আহমেদ খানের ‘অলস সময়’ গানে মডেল হিসেবে বেশ প্রশংসা পেয়েছি।