১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নাগরিক সম্মাননায় জ্যোৎস্না বিশ্বাস উচ্ছ্বসিত অরুণা

-

জ্যোৎস্না বিশ্বাস, স্বনামেই পরিচিত। এই দেশের যাত্রা শিল্পের যাত্রা সম্রাজ্ঞী তিনি। তার স্বামী অমেলন্দু বিশ্বাস ছিলেন এই দেশের যাত্রা শিল্পের যাত্রা সম্রাট। ১৯৮৯ সালে অমলেন্দু বিশ্বাসকে একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়। আবার জোৎস্না বিশ্বাসকে ২০১১ সালে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। দুইজনকেই যাত্রাশিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পদকে ভূষিত হন। বরেণ্য এই শিল্পীকে এবার তার সারাজীবনের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নাট্যদল ‘নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়’ ‘নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় সম্মাননায়’ ভূষিত করতে যাচ্ছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ শিল্পকলা একাডেমিতে জ্যোৎস্না বিশ^াসের হাতে এই সম্মাননা তুুলে দেয়া হবে। দেশের একটি বড় নাট্যদল থেকে এই সম্মাননা প্রাপ্তিকে অনেক বড় অর্জন হিসেবেই দেখছেন তার কন্যা অরুণা বিশ^াস। জ্যোৎস্না বিশ^াস বলেন, এর আগে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একুশে পদকসহ আরো বহু সংগঠন কর্তৃক আজীবন সম্মাননাসহ অনেক ধরনের সম্মাননায় ভূষিত হয়েছি। তবে কোনো নাট্যদল কর্তৃক সম্মাননা প্রাপ্তি এবারই প্রথম। আয়োজকদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি এই কারণেই যে একই সাথে আরো বেশ কয়েকজন কিংবদন্তি এবং প্রতিথযশা নাট্য ব্যক্তিত্বও একই সম্মাননায় ভূষিত হবেন। এটি আমার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগার।’ অরুণা বিশ^াস বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গন যতদিন থাকবে ততদিন আমার বাবা-মায়ের নাম থাকবে। তাদের অবদানকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনোই উপায় নেই। আমার বাবা-মায়ের কারণেই আমি কিংবা আমার ভাই, আমার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অনেক সম্মানিত হই। এটি সত্যিই অনেক ভালোলাগার এবং গর্বেরও বটে। আমার মাকে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় সম্মাননায় ভূষিত করা হচ্ছে, বিষয়টি আমার জন্যও অনেক ভালোলাগার। তার মেয়ে হয়ে আমি উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত। অরুণা বিশ্বাস জানান, তিনি তার মাকে নিয়ে এরই মধ্যে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। মাকে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণের পর তিনি তার বাবা অমলেন্দু বিশ্বাসকে নিয়েও আরেকটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করবেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই দু’জন কিংবদন্তির যাত্রাশিল্পে অবদানকে জানান দিতে অরুণা বিশ্বাস এই দু’টি তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। তবে অরুণা বিশ্বাসের ভালো লাগতো যদি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তার বাবা-মাকে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হতো। কারণ এই দেশের যাত্রাশিল্পের অগ্রপথিক তারা দু’জন। তাদের নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কাজও হওয়াই উচিত বলে মনে করেন তিনি। যাত্রাশিল্পে জ্যোৎস্না বিশ্বাস বিগত ৪৫ বছর ধরে অভিনয় করছেন। নিজে নির্দেশনাও দেন। সর্বশেষ প্রায় দশ মাসে আগে একটি যাত্রা পালায় তিনি অভিনয় করেন। এদিকে অরুণা বিশ্বাস অভিনয়ে নিয়মিত থাকার পাশাপাশি সেন্সর বোর্ডের মেম্বার হিসেবেও কাজ করছেন। এরই মধ্যে জসীমের নির্দেশনায় নতুুন একটি সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি। এতে তার বিপরীতে আছেন শতাব্দী ওয়াদুদ।


আরো সংবাদ



premium cement
কাঁঠালিয়ায় মাঠে ছাগল আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরে মৃত্যু সালমান খানের বাড়িতে গুলির ঘটনায় গ্রেফতার ২ আরো দুই সদস্য বাড়িয়ে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন রাবির নতুন জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে অপরাধ না করেও আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানোৎসবে নেমে শিশুর মৃত্যু ধূমপান করতে নিষেধ করায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বড় বোনের বৌভাতের গিয়ে দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত কোটালীপাড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত চুয়াডাঙ্গা দর্শনায় রেললাইনের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের কবর জিয়ারত করলেন জামায়াত আমির

সকল