২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কণ্ঠশিল্পীদের কণ্ঠ হারিয়ে ফেলছি এখন সব কিছু মেশিনে হচ্ছে

-

তিনি একজন সফল নারী। একদিকে সফল মা। অন্যদিকে সফল স্ত্রী। সফল ব্যবসায়ী। সব থেকে তার বড় পরিচয় তিনি একজন দেশ সেরা কণ্ঠশিল্পী। কৃতিত্বের স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়েছেন অর্জনের স্বীকৃতির প্রাপ্তি। তিনি হলেন রংপুর মহানগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়ের বাসিন্দা মাহমুদা আক্তার মিতু।
চার বছর বয়স থেকেই তিনি গান চর্চায় ঠোঁট মিলিয়েছেন পিতার সাথে। গান শিখেছেন পিতা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের কাছে। তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ রণজিৎ কুমার রায়, জিয়াউল হক লিপু, তমালকান্তি লাহিড়ীর কাছে। তালিম নিয়েছেন শিশু একাডেমি ও শিল্পকলায়। রংপুর পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াকালীন থেকেই তিনি অংশ নেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। ২০১০ সালে বাংলালিংক-সাউন্ডটাচের আয়োজনে ভাওয়াইয়া উৎসবে রংপুর বিভাগের আটজেলার সাত হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। মরহুম সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাছ থেকে নিয়েছেন ২০১১ সালে কৃতিত্বের পুরস্কার। ২০১৪ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্কুল পর্যায়ে হামদ নাত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সারা বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে নিয়েছিলেন স্বীকৃতির সনদ। ২০১৯ সালে জনপ্রিয় রিয়েলেটি শো এনটিভির সিলন সুপার সিংগারের প্রায় সাত মাস ধরে চলা ১৫ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে সেরা দশে অবস্থান করেছেন।
আধুনিক, লোকসঙ্গীত, ভাওয়াইয়া গান করেন তিনি। এ পর্যন্ত স্টেজ পারফর্ম করেছেন হাজারেও বেশি। রংপুর বিভাগের বাইরে চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা ও সিরাজগঞ্জে করেছেন স্টেজ পারফর্ম। দেশের বাইরে পারফর্ম করেছেন ভারতে। ২০০৪ সাল থেকে রংপুর বেতারে গান করেন। বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী তিনি। জড়িত আছেন রংপুর নাট্যকেন্দ্র, অভিযাত্রিক, সাউন্ডটাচ, ভাওয়াইয়া একাডেমির সাথে।
মিতু জানান, বাবাই আমার গানের সুর। হারমোনিয়াম হাতে পাইতাম না। আব্বু চ্যাংদোলা করে ধরে হারমোনিয়াম শিখিয়েছেন আমাকে। তিনি জানান, আমি চাই শ্রোতাদের ভালো এবং মৌলিক কিছু গান উপহার দিতে। যা গানকে বাঁচিয়ে রাখবে, আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে। এটাই আমার চেষ্টা। তিনি বলেন, আমার একটাই দুঃখ, শিল্পীদের মূল্যায়ন কমে যাচ্ছে। এজন্য আমরা নিজেরাই অনেকটা দায়ী। কারণ এখন সব কিছু মেশিনে হচ্ছে। কণ্ঠশিল্পীদের কণ্ঠ হারিয়ে ফেলছি।
মিতু জানালেন, শিল্পীদের কাছে আমার অনুরোধ, আসুন সবাই আমরা সঙ্গীত শিখে করি। সেটা যদি দুই তিনটি গান হয়, তাতেই যেন আমরা সন্তুষ্ট থাকি। অনেক শিল্পী আছেন যারা ইউটিউবে গান করে শিল্পী হিসেবে নাম জাহির করছেন। এটা যেন না হয়।
মিতু বলেন, গানকে আমি আমার সন্তানের মতোই ভালোবাসি। গান ছাড়া আমি আমার জীবনকে কল্পনাই করতে পারি না। আমি চাই সুস্থধারার গান। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার বিকাশ। অসুস্থ গান, অসুস্থ সঙ্গীত চর্চা থেকে আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।
মিতু বলেন, বিয়ের আগে আমার গানের অনুপ্রেরণা ছিলেন আমার পিতা। বিয়ের পর সেই অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন আমার স্বামী রংপুরের অতি পরিচিতজন তানবীর হোসেন আশরাফী। যিনি তার নিজের কর্ম আর প্রত্যয় মিলে তৈরি করেছেন বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার নওগাঁ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত বান্দরবানে কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পেনশন স্কিম পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দেশে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে না : ডিসি নারায়ণগঞ্জ চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ফরিদপুরে সেদিন কী ঘটেছিল : বিবিসির প্রতিবেদন ইসরাইলের কাছে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণের দাম কিছুটা কমলো অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ ব্যক্তি ভর্তি

সকল