১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অতিথি শিল্পী কনকচাঁপা

-

বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের গর্ব, বিশেষত বাংলাদেশের সিনেমার বহু কালজয়ী গানের সঙ্গীতশিল্পী কনকচাঁপা বেশ কিছু দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। সেখানে বাংলাদেশী কমিউনিটিদের নিমন্ত্রণে অতিথি শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন চ্যারিটি শো’তে গান গাইছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, ডালাস, আটলান্টাতে বিভিন্ন চ্যারিটি শোতে অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আবার আগামী সপ্তাহে ভার্জিনিয়াতে একটি শোতে অংশ নিয়ে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই তিনি দেশে ফিরবেন। এসব অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথেই বলছি, দিন দিন আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা, সম্মান যেভাবে বাড়ছে তাতে সত্যিই মাঝে মধ্যে অবাক হয়ে যাই, আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। গেল ১১ সেপ্টেম্বর ছিল আমার জন্মদিন। খুউব ইচ্ছে ছিল এবারের জন্মদিনে দেশে থাকার। কারণ এবার আমি ৫০ এ পা দিয়েছি। কিন্তু থাকতে পারিনি। আমার পরিবার, আমার অনলাইন স্কুলের ৪০ জন বাচ্চাসহ আমার অন্যান্য ভক্ত যারা আছেন তাদের পরিকল্পনা ছিল এবারের জন্মদিনটি বিশেষভাবে রাঙানোর। কিন্তু হলো না। মিস করেছি আমার মায়ের আদর, মায়ের হাতের পায়েস। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আমার ইচ্ছে না থাকার পরেও এখানে সবার আবেগ, ভালোবাসার কাছে আমি হেরে গেছি। আমার জন্মদিনকে ঘিরে এখানে যারা ছিলেন তারা যে আয়োজন করেছিলেন তাতে বিস্মিত হয়েছি। এই ভালোবাসার সত্যিই কোনো তুলনা হয় না।’ কনকচাঁপার অভ্যাস রয়েছে কবিতা লেখার। তবে জীবনে একবারই তিনি গান লিখেছিলেন। গানটি ছিল ‘আমি সত্যি করে ওভাবেই বলিনি, বলতে চাইনি অমন করে, সুখী করতে গিয়েও আমি, দুঃখ দিয়েছি বারে বারে’। মইনুল ইসলাম খানের সুর সঙ্গীতে গানটি গেয়েছিলেন তৃষিতা সাহা। বাংলাদেশের কিংবদন্তি সুরকারদের সুরে বহু শ্রুতিমধুর গান গেয়েছেন কনকচাঁপা। তবে নিজে কখনো সুর করা নিয়ে ভাবেননি একটিবারের জন্যও। তার মতে, যার যা কাজ সেটাই তিনি করলে অনেক ভালো হবে। কনকচাঁপা বলেন, ‘যেহেতু আমি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত নিয়মিত চর্চা করি। তাই এই চর্চার সময় সুরের খেয়ায় ভাসতে ভাসতেই মনের অজান্তেই সুর তৈরি হয়ে যায়। মনে মনে এমন সুর করেছিও। কিন্তু সেসব সুরের বাণিজ্যিকীকরণ হয়নি।’ মানুষ অমর হতে চায়। কনকচাঁপাও এর বাইরে নন। তার পরও যখন ভাবনায় আসে এই দুনিয়াতে একসময় তিনি আর থাকবেন না তখন খুউব কষ্ট হয়, খারাপ লাগে। কারণ তিনি বিশ^াস করেন মায়ের হাসি, ভিক্ষুকের মুখের হাসি, বৃদ্ধ চাচার চায়ের কাপে তৃপ্তির চুমুক, ছোট শিশুদের ঈদের জামা পড়ার আনন্দ এক অন্যরকম শান্তি এনে দেয় মনে। এই শান্তি ছেড়ে একদিন চলে যেতেই হবে। উল্লেখ্য, দেশে ফেরার পর তিনি নিয়মিত স্টেজ শোতে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement