১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মঞ্চে দর্শকনন্দিত নাটক রক্তকরবী

-

বাংলাদেশের প্রথম সারির নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর’র চতুর্থ প্রযোজনা ‘রক্তকরবী’ নাটকটি আগামী ২৪ আগস্ট বাংলাদেশ মহিলা সমিতি মিলনায়তনে, সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়িত হবে। প্রায় এক বছর পর নাটকটি আবার মঞ্চে আসছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, রামিজ রাজু, আউয়াল রেজা, শিশির রহমান, পলাশ, সরোয়ার সৈকত, সাগর, রিগ্যান, জুয়েল রানা, মনির, শুভ, শুভেচ্ছা, সীমান্ত, প্রকৃতি, সুজয়, চৈতী প্রমুখ।
নাট্য পরিচয় : ঘটনাস্থানটির প্রকৃত নামটি কী সে সম্বন্ধে ভৌগোলিকদের মতভেদ থাকা সম্ভব। কিন্তু সবাই জানেন, এর ডাক নাম যপুরী। পণ্ডিতরা বলেন, পৌরাণিক যপুরীতে ধনদেবতা কুবেরের স্বর্ণসিংহাসন। কিন্তু এ নাটকটি একেবারেই পৌরাণিক কালের নয়, একে রূপকও বলা যায় না। যে জায়গাটার কথা হচ্ছে সেখানে মাটির নিচে যরে ধন পোঁতা আছে। তাই সন্ধান পেয়ে পাতালে সুড়ঙ্গ খোদাই চলছে, এ জন্যই লোকে আদর করে একে যপুরী নাম দিয়েছে। এই নাটকে এখানকার সুড়ঙ্গ-খোদাইকরদের সঙ্গে যথাকালে আমাদের পরিচয় হবে। যপুরীর রাজার প্রকৃত নাম সম্বন্ধে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতের ঐক্য কেউ প্রত্যাশা করে না। এটুকু জানি যে, এর একটি ডাক নাম আছেÑ মকররাজ। যথাসময়ে লোকমুখে এই নামকরণের কারণ বোঝা যাবে।
রাজমহলের বাহির-দেয়ালে একটি জালের জানালা আছে। সেই জালের আড়াল থেকে মকররাজ তার ইচ্ছামতো পরিমাণে মানুষের সাথে দেখাশোনা করে থাকেন। কেন তার এমন অদ্ভুত ব্যবহার তা নিয়ে নাটকের পাত্রগণ যেটুকু আলাপ-আলোচনা করেছেন তার বেশি আমরা কিছু জানি না। এই রাজ্যের যারা সরদার তারা যোগ্য লোক এবং যাকে বলে বহুদর্শী। রাজার তারা অন্তরঙ্গ পর্ষদ। তাদের সতর্ক ব্যবস্থাগুণে খোদাইকরদের কাজের মধ্যে ফাঁক পড়ে না এবং যপুরীর নিরন্তর উন্নতি হতে থাকে। এখানকার মোড়লরা একসময় খোদাইকর ছিল, নিজগুণে তাদের পদবৃদ্ধি এবং উপাধি লাভ ঘটেছে। কর্মনিষ্ঠতায় তারা অনেক বিষয়ে সরদারদের ছাড়িয়ে যায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement