২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ট্যালোনকে ঘিরে উন্মাদনা

-

কান উৎসব শুধু বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র বাজারই নয়, এটা বিশ্ব তারকাদের মিলন মেলাও। বিশ্বের সব বড় তারকারাই এখানে হাজির হন নিজের সেরা কর্ম নিয়ে। ২৪ মে এই উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিলেন সিলভেস্টার স্ট্যালোন। যিনি র্যাম্বো নামেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। আমেরিকান-কানাডিয়ান ঔপন্যাসিক ডেভিড মোরেলের সৃষ্টি জন র্যাম্বো অন্যতম। ছোট-বড় সবাই তাকে চেনে। তাই দক্ষিণ ফ্রান্সের কানসৈকতে সিলভেস্টার স্ট্যালোনকে ঘিরে উন্মাদনার ঢেউ উঠবে, এটাই স্বাভাবিক। এদিন ঘণ্টাখানেক ক্যারিয়ারের ব্লকবাস্টার ছবিগুলোর পাশাপাশি জীবনের সাফল্য-ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন স্ট্যালোন। এর মধ্যে জানালেন, সত্তর দশকে ‘রকি’ (১৯৭৬) ছবিতে ব্যবহৃত দুটি কচ্ছপ আজও নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন তিনি। এগুলোর নাম কাফ ও লিংক। তাদের বয়স ৫৫ বছর! তিনি বললেন, ‘ওরাই আমার একমাত্র জীবিত বন্ধু। বাকি সবাই চলে গেছে।’
জীবনের দর্শন প্রসঙ্গে স্ট্যালোন বলেন, ‘কখনো হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। লেগে থাকতে হবে। এভাবেই আমি এগিয়েছি। নিজেকে সবসময়ই প্রমাণ করতে হয়। ব্যর্থতা মানুষকে খাঁটি করে। কখনো কখনো সাফল্য বোকা বানিয়ে দেয় আমাদের।’ মাস্টারক্লাস শেষে বিজয়ীর মতো দুই হাত তুলে ধরেন সিলভেস্টার স্ট্যালোন। তাকে উপহার দেয়া হয় ফ্রেমে বাঁধাই করা র্যাম্বোর সাজে তার পুরনো একটি ছবি। এর আগে শুক্রবার সকালে পালে দে ফেস্টিভাল ভবনে ফটোকলে অংশ নেন স্ট্যালোন। সেখানে আলোকচিত্রীদের সামনে তিনি একহাত মুষ্টি করে তুলে ধরেন রকির মতো।
গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় টেড কোচেফ পরিচালিত ‘র্যাম্বো-ফার্স্ট ব্লাড’-এর ফোরকে প্রিন্টের স্পেশাল স্ক্রিনিং হবে। এটি মুক্তি পায় ১৯৮২ সালের ২২ অক্টোবর। প্রদর্শনী শুরুর আগে মঞ্চে এসে ‘র্যাম্বো’র পঞ্চম কিস্তির ফার্স্ট টিজার উপস্থাপন করেন স্ট্যালোন।
অ্যাড্রিয়ান গ্রানবার্গ পরিচালিত ‘র্যাম্বো ফাইভ-লাস্ট ব্লাড’ ছবির প্রচারণায় সাগরপাড়ের শহরে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে এসেছেন স্ট্যালোন। এতে পঞ্চম ও শেষবারের মতো জন র্যাম্বো চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে এ বছরের ২০ সেপ্টেম্বর। এতে রুদ্ধশ্বাস অ্যাকশন দেখা যাবে বলে মাস্টারক্লাসে জানিয়ে রেখেছেন তিনবার অস্কার মনোনীত এই তারকা।

 


আরো সংবাদ



premium cement