২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমার পরে আমি কাউকে দেখি না শাকিব

-

চলচ্চিত্র অঙ্গনে অভিনয়শিল্পীর আনাগোনা থেমে নেই। জনপ্রিয় অভিনেতার ভিড়েও চোখে পড়ছে নতুনদের আগমন। তারা আসছে ভালো কিছু করে দেখানোর প্রত্যয় নিয়ে। তারপরও নির্মাতাদের কাছে নির্ভরতার নাম শাকিব খান। ছবির বাণিজ্যিক সাফল্য অনেকটা নির্ভর করে শাকিবের ওপর। এক যুগ ধরে বাংলাদেশী সিনেমায় যেন শাকিব খান ছাড়া আর কেউ নেই। কেউ কেউ ধূমকেতুর মতো মাঝে মধ্যে এসেছে আবার হারিয়েও যেতে বসেছে। কারো মতে, তার কূটকৌশলেই অন্যরা দাঁড়াতে পারছে না। কেন অপরিহার্য শাকিব খান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে? আদৌ কি অপরিহার্য তিনি? প্রযোজক নির্মাতারাও কি দায়ী নন এ জন্য? নাকি নিজের যোগ্যতা দিয়েই অপরিহার্যতা তৈরি করেছেন কিংবা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ‘ভাইজান’, ‘শিকারি’, ‘চালবাজ’ কিংবা ‘সুপার হিরো’ অথবা ‘ক্যাপ্টেন খান’।
পরিচালক, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ও মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, শাকিব খান নিশ্চয়ই তার যোগ্যতা দিয়ে অপরিহার্যতা তৈরি করেছেন। তবে কোনো অপরিহার্যতাই স্থায়ী নয়। এ বছর কিন্তু নতুন সম্ভাবনার জন্ম হয়েছে। তবে সেই সম্ভাবনা পরিপক্ব হতে সময় দিতে হবে, বিনিয়োগ করতে হবে। আর বিনিয়োগ করতে হলে সিনেমার হল থাকতে হবে। হল থাকতে হলে সিনেমা থাকতে হবে। আর সিনেমা হতে হলে যেসব প্রশাসনিক বাধা আছে, সেগুলো দূর করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে সরকারি পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে গত বছর ৪১টি দেশী ছবি রিলিজ পেয়েছে। আগামী বছর হয়তো ১৪টিও থাকবে না।
এ মুহূর্তে নিশ্চিতভাবেই ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাণ্ডারী চিত্রনায়ক শাকিব খান। তার হাতেই ছবির সংখ্যা বেশি। শাকিব খান বলেন, নানা বাধা পেরিয়ে আমাকে পথ চলতে হয়েছে। এখনো চলছি। আমি সব সময় বিশ্বাস করেছি, টিকে থাকতে হলে নিজের যোগ্যতায়ই টিকতে হবে। কষ্ট করে টিকে থাকতে হবে। নিজের কাজ করে যেতে হবে শত সমালোচনা সত্ত্বেও। রাখতে হবে নিজের ওপর বিশ্বাস। চলচ্চিত্রে নিজের উত্তরাধিকার নিয়ে শাকিব বলেন, এটা অহঙ্কারের মতোই লাগবে, কিন্তু সেরাদের কিছু অহঙ্কারও জরুরি। আমার পরে আমি কাউকে দেখি না। আর যে যার মতো। শুভ ভালো করছে কিংবা সিয়াম খুব ভালো করছে।


আরো সংবাদ



premium cement