১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পূর্ণিমাকে স্কুটি চালানো শেখাচ্ছেন ফেরদৌস

-

বেশ কিছুদিন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে পেশাগত কাজ থেকে দূরে ছিলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। তবে সুস্থ হয়ে আবার তিনি তার পেশাগত কাজে ফিরেছেন। এরই মধ্যে গাজীপুরে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনাও করেছেন তিনি। আগামী ডিসেম্বরে অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে ফেরদৌসের প্রযোজনা সংস্থা ‘নূজহাত ফিল্মস’ ও নেয়ামুলের প্রযোজনা সংস্থা ‘ইচ্ছেমতো’ প্রযোজিত নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ সিনেমার শুটিং। এই সিনেমায় পূর্ণিমাকে একজন এনজিও কর্মীর চরিত্রে অভিনয়ে দেখা যাবে। যেহেতু একজন এনজিও কর্মী হিসেবে গ্রামের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে তাকে ছুটতে হবে। তাই তাকে গল্প অনুযায়ী একটি স্কুটিতে চড়ে গ্রামের পর গ্রামে ঘুরে বেড়াতে হবে। আর তাই প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছেন পূর্ণিমার স্কুটি শেখার। তাকে স্কুটি শেখানোর গুরু দায়িত্ব নিয়েছেন ফেরদৌস। এরই মধ্যে গত শুক্রবার থেকে ফেরদৌস পূর্ণিমাকে স্কুটি চালানো শেখাচ্ছেন। টানা এক সপ্তাহ তিনি এই স্কুটি চালানোর প্রশিক্ষক হিসেবে পূর্ণিমাকে স্কুটি শেখাবেন। তবে না এ জন্য অবশ্য ফেরদৌস প্রশিক্ষক হিসেবে কোনো আলাদা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। অনেকটা হেসেই ফেরদৌস বলেন, ‘যেহেতু সিনেমার গল্পের প্রয়োজনেই পূর্ণিমাকে আমার স্কুটি চালানো শেখাতে হচ্ছে এবং আমিই এ সিনেমার প্রযোজক সে কারণে এর জন্য কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছি না।
তা ছাড়া পূর্ণিমা আমার খুব ভালো একজন বন্ধু। বন্ধুর জন্য আরেকজন বন্ধুকে কত কিছুই করতে হয়। তবে যাই হোক না কেন, আমি চেয়েছি পূর্ণিমা স্কুটি শিখেই এতে অভিনয় করুক। চাইলেই ডামি ব্যবহার করা যেত। কিন্তু সেটা ভালো দেখাতো না।’ পূর্ণিমা বলেন,‘গাঙচিলের গল্পের প্রয়োজনেই পরিচালক এবং প্রযোজকের আগ্রকে কষ্ট হলেও আমি স্কুটি চালানো শিখছি। এর আগে স্কুটি বা সাইকেল চালানো কখনোই শিখিনি আমি। তবে আমার বিশ্বাস কয়েক দিনের টানা চেষ্টায় বেশ ভালো স্কুটি চালানো শিখে ফেলবো, সেই আত্মবিশ্বাস আছে আমার। ফেরদৌসকে ধন্যবাদ আমার পাশে থেকে আমাকে স্কুটি চালানোতে সহযোগিতা করছে। আমার খুব ভালো একজন বন্ধুর কাছে আমি এটা শিখছি। এটাও অবশ্য আমার অনেক ভালোলাগার।’
ছবি :গোলাম সাব্বির


আরো সংবাদ



premium cement