২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জন্মদিনে রুনা লায়লা

-

আজ উপমহাদেশের বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন। তবে এবারের জন্মদিনটি তিনি কলকাতায় একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্যদিয়েই পার করবেন বলে জানান তিনি। সেই পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন রুনা লায়লা। সেখানে পারিবারিক অনুষ্ঠানে দুই দিন থেকে আগামী ১৯ নভেম্বর ঢাকায় ফিরবেন তিনি। ঢাকায় একদিন অবস্থান করে আগামী ২১ নভেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান শেষে আবার ৮ ডিসেম্বর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন রুনা লায়লা। জন্মদিন প্রসঙ্গে রুনা লায়লা জানান, ‘এবারের জন্মদিনে চাইলেও আর ঢাকায় থাকতে পারিনি। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কলকাতায় আসতে হয়েছে। তবে জন্মদিনে আমি আমার মুরুব্বিদের কাছ থেকে আশীর্বাদ কামনা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমি সুস্থ থাকি, ভালো থাকি। আরো ভালো ভালো কিছু গান যেন গাইতে পারি। যত দিন বাঁচি সম্মান নিয়ে যেন বাঁচতে পারি। কারণ একজন শিল্পীর জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন তো সম্মানই।’ এ দিকে রুনা লায়লা গত ১২ নভেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ করদাতার পুরস্কার পেলেন। সে দিন তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছ থেকে সেরা করদাতার পুরস্কার নেন। রুনা লায়লা জানান, ‘১৯৭৪ সাল থেকে আমি নিয়মিত ট্যাক্স দিয়ে আসছি। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে ইনশা আল্লাহ। আমি সবাইকে অনুরোধ করব নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ করার জন্য। কারণ এই ট্যাক্সের টাকা দিয়েই দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের সেবা নিশ্চিত হয়।’ রুনা লায়লা সর্বশেষ চট্টগ্রামে একটি স্টেজ শোতে অংশ নেন গত সপ্তাহে। তবে আর আগে তিনি আড়ংয়ের ৪০ বছর পূর্তিতেও ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরই মধ্যে রুনা লায়লা একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও নিজের অভিষেক ঘটিয়েছেন। নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’তে রুনা লায়লার সুরে আঁখি আলমগীর একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত রুনা লায়লা চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার কারণে পেয়েছেন ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৭৭ সালে আব্দুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর তিনি একই সম্মাননায় ভূষিত হন ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাকের জন্য। দেবু ভট্টাচার্য্যরে সুরে করাচি রেডিওতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রথম রুনা লায়লার কণ্ঠে বাংলা গান শোনা যায়। ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’, ‘আমি নদীর মতো কতো পথ পেরিয়ে’ গান তার কণ্ঠে শোনা যায়। তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রুনা লায়লা প্রথম প্লে-ব্যাক করেন ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’ চলচ্চিত্রে সুবল দাসের সুর সঙ্গীতে। ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে’ গানটিতে কণ্ঠ দেন। দেশে আসার পর ১৯৭৬-এ প্রথম প্লে-ব্যাক করেন নূরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘জীবন সাথী’ চলচ্চিত্রে। এর সুর সঙ্গীত করেছিলেন সত্য সাহা। রুনা লায়লার সাথে দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছিলেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। গুণী এই সঙ্গীতশিল্পী ১৮টি ভাষায় গান গাইতে পারেন যা সত্যিই বিরল।
ছবি : মোহসীন আহমেদ কাওছার


আরো সংবাদ



premium cement
বিখ্যাত চালকবিহীনবিমানের আবিষ্কারক কটিয়াদীতে আসছেন গাজার গণকবরের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন’ তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পেকুয়ায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৪ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ : টিআইবি লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১৭ ক্রিকেটার, নেই সাকিব-মোস্তাফিজ উত্তর গাজায় আবারো ইসরাইলের গোলাবর্ষণ ধামরাইয়ে তাপদাহে জনজীবন কাহিল, ডায়রিয়াসহ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশী কেএনএফ সংশ্লিষ্টতা : ছাত্রলীগ নেতাসহ কারাগারে ৭

সকল