২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভোটার কম হওয়ার ৩ কারণ বললেন সিইসি

নির্বাচন
সিইসি বললেন তিন কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। - ছবি: সংগৃহীত

গতকাল অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন সিইসি। সেই সাথে তিনি বলেছেন এ নির্বাচনে তিনি সন্তুষ্ট।

আজ শুক্রবার সকালে প্রথমবারের মতো জাতীয় ভোটার দিবস পালন উপলক্ষে এক শোভাযাত্রা শুরুর আগে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়।

দিবস পালন বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘ভোটার হব, ভোট দেব— প্রতিপাদ্যে প্রথমবারের দিবসটি পালিত হচ্ছে। ভোটারদের উৎসাহিত করাই এই দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য। ভোটার নিবন্ধন একটি প্রক্রিয়া। তাই আলাদা দিবসের মাধ্যমে আমরা সেটি শুরু করতে চাইছি।’

গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় উত্তর সিটি নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল অংশ নেয়নি। তবে, জনগণ ঠিকই অংশ নিয়েছেন। তাদের ভোটেই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুল ইসলাম।’

নূরুল হুদা এ সময় ভোটার উপস্থিতি কমের ব্যাখ্যা দেন, ‘ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটার কম হয়েছে। কারণ, এই নির্বাচনের মেয়াদ কম, বিএনপি অংশ নেয়নি। বৈরি আবহাওয়ার কারণেও ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে।’

এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা নেই বলেই বিএনপি সিটি নির্বিচনে আসেনি— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এদেশের সংস্কৃতিই এটা, হেরে গেলেই অনাস্থা প্রকাশ করবে। আর এটি বিএনপির রাজনৈতিক বক্তব্য।’

সিইসি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা মানুষের ভোটের অধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত করেছি। জনগণকে নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছি।’

বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে উপজেলা পরিষদ, মেয়র পদে ও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন/উপ-নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটির ভোটে ভোটার ছিল উল্লেখযোগ্য হারে কম।

বৃহস্পতিবার ভোটের দিন ভোরে রাজধানীতে হালকা বৃষ্টি হয়। এরপর জমে থাকে কালো মেঘ। তবে, দিনভর তা আর বৃষ্টি হয়ে ঝরেনি।

কিন্তু, বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। অনেক কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভোটারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

অবশ্য ঘোষিত ফলাফলে বলা হয়েছে, ৩১.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। যদিও ভোটের দিন দুপুরে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রত্যাশা করেছিলেন, যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে, তাতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়বে।

আরো পড়ুন :
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার দায় ইসির নয় : সিইসি
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। দুই সিটির মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং সম্প্রাসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সম্প্রাসারিত ১৮ ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, কোনো ধরনের বিরতি ছাড়াই চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

তবে সকাল থেকে দেখা যায় ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভিড় নেই। দু-এক জন করে ভোটার আসছেন। বেশিরভাগ কেন্দ্রের সামনেই প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থক ছাড়া ভোটার নেই বললেই চলে।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তরার আইইএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সিইসি। ভোটার উপস্থিতি কম বিষয়ে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার না আসার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। এ দায় রাজনৈতিক দলগুলোর এবং প্রার্থীদের।

তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দেই, রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা প্রার্থীদের ভোটার নিয়ে আসতে হয়। আমরা বলে দেই পরিবেশ সুষ্ঠু আছে, সবকিছু নিরাপদ আছে এবং সবাই ভোট দিতে আসতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি- দুইটি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম থাকতে পারে। একটি হচ্ছে- স্বল্প সময়ের জন্য এই নির্বাচন, এক বছর পরে আবার নির্বাচন হবে- সেজন্য কম হতে পারে। আর সব রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে না ভাবে ভোটার কম হতে পারে।’

সিইসি আরও বলেন, ‘দিন গড়ালে মানুষ বাড়তে পারে। তবে উপস্থিতি ওই রকম সংখ্যক নাও হতে পারে।’

নির্বাচন ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়োগ করে দিয়েছি। নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি আছে বলে আমরা মনে করছি না।’

দুই ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে এক শতাংশের কম ভোট পড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না। ভোটতো ৪টা পর্যন্ত। ৪টার পর বলা যাবে- কেমন ভোট পড়লো।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৩৮২ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৫ জন। দুই সিটিতে ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৩১০ জন।

উত্তর দক্ষিণ সিটিতে ৬টি করে ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থীর সংখ্যা ৬৯ জন। এর মধ্যে ডিএনসিসির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১৬ জন, সমসংখ্যাক ওয়ার্ডে ডিএসসিসিতে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১২৫ জন। অন্যদিকে ডিএনসিসি‘র ৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৫ জন এবং ডিএসসিসিতে ২৪ জন।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর পদে দলীয় স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এরা হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি থেকে শাফিন আহমেদ, বাঘ প্রতীক নিয়ে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) থেকে শাহিন খান, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনিসুর রহমান দেওয়ান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নর্থ সাউথ প্রপার্টিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম এর প্রতীক টেবিল ঘড়ি।

ঢাকা উত্তর সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি, মোট ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ২৯৫টি এবং ভোটকক্ষ ৬ হাজার ৪৮২টি। এতে মোট ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩০ জন এবং নারী ভোটার ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯১ জন। মেয়র পদে পুরো উত্তর সিটিতে নির্বাচন হচ্ছে। আর সাধারণ ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টিতে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে।

উত্তর সিটির সম্প্রসারিত ১৮ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ৬ ওয়ার্ডে মোট ভোটকেন্দ্র ২৪৩টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৪৭২টি। মোট ভোটার ৫ লাখ ৯০ হাজার ৭০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৮৫ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৯২ হাজার ৪২০ জন।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাধারণ ১৮টি ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ৬টি ওয়ার্ডে মোট ভোটকেন্দ্র ২৩৫টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ২৫২টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯৭ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ২৩৮ জন।

উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার মধ্যরাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচন উপলক্ষে ২৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১ মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত মটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তবে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও ডাক বিভাগের গাড়ি এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আড়াই বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ডিএনসিসিরি মেয়র আনিসুর হক লন্ডনে মারা যান। এতে আসনটি শূন্য হয়ে পড়ে। অন্যদিকে দুই সিটিতে ২০১৭ সালে ১৮টি করে ৩৬টি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্ধারিত সময়ের এক বছর পর গত ২২ জানুয়ারি দুই সিটির তফসিল ঘোষণা করে ইসি।


আরো সংবাদ



premium cement
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি : মিশা সভাপতি, ডিপজল সম্পাদক ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল