২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মেয়র হতে আতিকুলের বাকি কেবল আনুষ্ঠানিকতা

মেয়র হতে আতিকুলের বাকি কেবল আনুষ্ঠানিকতা - নয়া দিগন্ত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র হতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিকুল ইসলামের এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। রাত সাড়ে ১০টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানের এগিয়ে ছিলেন। ১২৯৫ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬৪৫টির ঘোষিত ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে শাফিন আহমেদ পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৭৫ ভোট।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের ‘ফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল কাসেম এ ফলাফল ঘোষণা করছেন।

ডিএনসিসির মেয়র পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অপর প্রার্থীদের মধ্যে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন ২৮৭৬ ভোট, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির শাহিন খান ২৮৭৩, স্বতন্ত্র প্রার্থী রহিম ৩৩১১ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বৈরী আবহাওয়া মাথায় নিয়ে বেশ শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। দুই সিটির কাউন্সিলর পদের ভোট মিলিয়ে ভোটের হার ৫০ শতাংশ হতে পারে বলে মন্তব্য করছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

ডিএনসিসির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। ডিএসসিসির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী। ঢাকা উত্তরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আর নয় নম্বর সাধারণ আসনে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৫৪টি ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৯ জন।

আর নতুন সৃষ্টি হওয়া ৩৭ নম্বর থেকে ৫৪ নম্বর পর্যন্ত ১৮টি ওয়ার্ডে ও ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচনে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৭০৫ জন ভোটার তাদের মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন।

ঢাকা দক্ষিণের ৫৮ থেকে ৭৫ নম্বর পর্যন্ত মোট ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডের ও ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচনে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন।

আলো পড়ুন : ‘ভোটার তালিকায় অষ্টম শ্রেনী পাসের তথ্য নেয়া হবে’
নিজস্ব প্রতিবেদক ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়সে একজন নাগরিক ভোটার হন। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তাদের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ বছর ১৮ বছরের নিচে যারা অষ্টম শ্রেণি পাস করেছে বা সমবয়সী সব ছেলেমেয়ের তথ্য ইসি অগ্রীম সংগ্রহ করবে বলে জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, আগামী ১ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এ সময় যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম ও যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সচিব বলেন, এ বছর আমরা নতুন চিন্তা-ভাবনা করছি। যারা অষ্টম শ্রেণি পাস করেছে, তাদের তথ্য অগ্রিম সংগ্রহ করব। এ নতুন পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করছি। যাতে নতুন ভোটার হওয়ার আগেই তাদের সব তথ্য আমরা পেয়ে যাই। তাহলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার যে বিড়ম্বনা, তা অনেকটা লাগব হবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ৯০ শতাংশ ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়। তাদের তথ্যগুলো আমরা পেয়ে যাব। প্রায় ১০ থেকে ১৫ ভাগ ছেলেমেয়ে স্কুলে যেতে পারে না, তাদের তথ্য আমরা বর্তমান পদ্ধতিতেই সংগ্রহ করব।

শুক্রবার (১ মার্চ) দেশে প্রথমবারের মতো ভোটার দিবস পালন করবে বলেও জানান ইসি সচিব। তিনি জানান, শুক্রবার ছয়জন ভোটারকে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদানের মাধ্যমে এ বছর ভোটার হালনাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হবে। তিনি বলেন, যদিও পয়লা মার্চ থেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান শুরু হবে, কিন্তু উপজেলা নির্বাচন থাকায় আমরা মূলত এ কার্যক্রম শুরু করব এপ্রিল মাস থেকে। তবে আগামী বছর থেকে মার্চ মাসেই নতুন ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে। অন্যান্য বছর যেভাবে ভোটার তথ্য সংগ্রহ করা হয়, একইভাবে এ বছরও করা হবে বলেও জানান ইসি সচিব।

প্রবাসীদের ভোটার করার জন্য সিঙ্গাপুরকে পাইলট দেশ হিসেবে বেছে নিয়েছে ইসি। ইসি সচিব বলেন, আগামী ৩ মার্চ ইসির একটি প্রতিনিধি দল সিঙ্গাপুর যাবে। তারা প্রবাসীদের ভোটার করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ইতোমধ্যে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে এক লাখ ৩০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছে, যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই। তারা যখন দেশে আসেন, তখন তাদের জমি বেচাকেনা, ফ্ল্যাট কেনাবেচা অথবা ব্যাংকে লেনদেন- এসব ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। তারা অল্প দিনের জন্য দেশে আসেন, এ সময়ের মধ্যে তাদের পক্ষে ভোটার আইডি করা সম্ভব হয় না অনেক সময়।

 


আরো সংবাদ



premium cement