১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`
অগ্নিকাণ্ড

দুর্ভোগে পড়েছেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের রোগীরা

অগ্নিকাণ্ডের পর রোগীদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে - সংগৃহীত

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগরের এই হাসপাতালে আগুন লাগার পর রোগীদের অনেকে আতঙ্কে বেরিয়ে আসতে থাকেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এরপর সব রোগীকে বের করে আনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ; তাদের রাখা হয় হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও সামনের মাঠে। আইসিইউতে থাকা রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের হাসপাতালগুলোতে। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে সংসদ অধিবেশন থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ছুটে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আগুন লাগার পরপরই অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সদস্যরা তা নেভানোর কাজ শুরু করেন। বাহিনীর মহাপরিচালক রাত ৮টার সময় বলেন, আগুন পুরোপুরি না নিভলেও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আগুনের সূত্রপাত ঘটার পরপরই হাসপাতালটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সোয়া ৭টার দিকে বিদ্যুৎ ফিরে আসে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুনে কারও হতাহতের খবর আমরা পাইনি। যত রোগী ছিল, তাদের সবাইকে বের করে আনা হয়েছে’। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালটির নতুন ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে দেখা দেয় আতঙ্ক। তখনই রোগীদের অনেকে ভয়ে বেরিয়ে আসেন।

এক রোগীর স্বজন বলেন, আগুনের কথা শোনার পর তিনি ধোঁয়া উড়তে দেখেন। এই পরিস্থিতি দেখে তিনি তার রোগীকে বাসায় নিয়ে গেছেন। ফেইসবুকে তোলা বিভিন্নজনের আগুনের ভিডিওতে সরকারি এই হাসপাতাল ভবনের নির্মাণাধীন অংশ থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছিল। কর্মচারীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় সরকারি এই হাসপাতালটিতে এক হাজারের বেশি রোগী ছিলেন।

ঘটনাস্থল থেকে একজন বলেছেন, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রোগীদের হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ও মাঠে নামিয়ে আনা হয়। আইসিইউতে থাকা রোগীদের পাশের অন্য হাসপাতালে নিতেও দেখা যায় তখন। আশপাশের হাসপাতাল থেকে তখন বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সও ছুটে আসে।

আগুন লাগার পরপর অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা বলেন, বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট সেখানে কাজ শুরু করছে। পরে ইউনিটের সংখ্যা ১১টিতে উন্নীত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান রাত সোয়া ৮টায় একটি টেলিভিশনকে বলেন, আগুন নেভাতে এসে প্রথমে পানি সঙ্কটে পড়েছিলেন তারা, তবে পরে তা কেটে যায়।

নিচতলার স্টোর রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলে, পরে ধোঁয়া উপরে উঠে যায়। স্টোরে অনেকগুলো কক্ষ থাকায় সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে আলী আহম্মেদ বলেন, ‘ভেতরে ছোট ছোট আগুন আছে, স্মোক আছে। তবে আগুনটা বড় হচ্ছে না। আমরা এখন রুমগুলো চেক করে দেখছি’।

রাত ৮টা পর্যন্ত ভবনের বিভিন্ন তলায় তল্লাশি করে হতাহত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, রোগীসহ সবাইকে নামিয়ে আনা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement