১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নতুন মন্ত্রীসভায় রাজশাহীর যেসব নেতার নাম আলোচিত হচ্ছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী - সংগৃহীত

বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের পূর্ণমন্ত্রী হয়েছিলেন রাজশাহীর কৃতী সন্তান ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ জেলা রাজশাহী থেকে পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পাননি আর কেউ। ফলে অবহেলিত রাজশাহী এদিক থেকে অনেকটা বঞ্চিতই থেকেছে।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। টানা ২১ বছর পর ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয় আওয়ামী লীগকে। পরে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবারো ক্ষমতায় আসীন হয় আওয়ামী লীগ। ওই সময় রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলা থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী করা হয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম আবদুল জলিলকে। সেই সাথে রাজশাহী থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার ও নাটোর থেকে আবদুল কুদ্দুসকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ থেকে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমকে করা হয় পূর্ণমন্ত্রী। তিনি স্বরাষ্ট্র এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

ফলে স্বাধীনতার পর ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে দেশের প্রাচীনতম এই দলটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও রাজশাহী থেকে কেউই পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে ঠাঁই পাননি আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। এরই মধ্যে শপথ নিয়েছেন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। আজকালের মধ্যেই মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণের কথা রয়েছে।

এদিকে নবম সংসদের শেষ দিকে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক চৌধুরীকে। দশম সংসদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম। একাদশ সংসদের নতুন মন্ত্রিসভায় রাজশাহীর কে থাকছেন তা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে নানা রকম গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এ ছাড়া এ নিয়ে বেশ কৌতূহলও রয়েছে।

তাই এবার রাজশাহী থেকে কোনো সংসদ সদস্যকে যাতে পর্ণমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেয়া হয় এমন প্রত্যাশা দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের। এ ক্ষেত্রে রাজশাহীর তিন সংসদ সদস্যের নাম শোনা যাচ্ছে। এদের একজন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাহ ও রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী অঞ্চলে ৩৯টি আসনের মধ্যে ৩২টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। এরমধ্যে রাজশাহীতে ছয়টি সংসদীয় আসন রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে এখন পর্যন্ত রাজশাহী বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০০৭ সালের আগ পর্যন্ত রাজশাহীর সবক’টি আসনই ছিল একটানা বিএনপির দখলে। আবার কখনো বেশির ভাগ আসনই বিএনপির দখলে থেকেছে। আর ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত টানা আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে রাজশাহীর সবক’টি আসন।


আরো সংবাদ



premium cement