২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের আগমন উপলক্ষ্যে ইসিতে নিরাপত্তা জোরদার 

ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের আগমন উপলক্ষ্যে ইসিতে নিরাপত্তা জোরদার  - সংগৃহীত

নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম, কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগাঁরগাও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে গেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থিরা। এ উপলক্ষ্যে ইসি ভবনে নির্বাপত্তা জোরদার কার হয়েছে। 

ভোটের আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনে তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

ইসি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৩০ ডিসেম্বর ভোটকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। ২ জানুয়ারি ঐক্যফ্রন্ট জানায় ইসিতে তাদের প্রার্থীরা আসবেন ৩ জানুয়ারি। এরপর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

৩ জানুয়ারি নির্বাচন ভবনে অবস্থান করে দেখা গেছে, পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এ ছাড়াও নির্বাচন ভবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায়ও সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি চৌকি। যদিও ভোটের পর দুই-একদিন নির্বাচন ভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে এতটা কড়াকড়ি ছিল না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবকে গত ২ জানুয়ারি চিঠির মাধ্যমে ইসিতে যাওয়ার বিষয়টি জানায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জোটের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম, কারচুপি, গ্রেফতার, ভয়ভীতি দেখানো, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, প্রার্থীদের আটক ও প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক তথ্য-উপাত্তসহ একটি স্মারকলিপি দাখিলের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীরা একযোগে ৩ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হবেন।’

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট পায় ২৬৬ আসন, বিএনপি জোট ৬ আসন, জাতীয় পার্টি ২২ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল পায় ৪ আসন। অধিকাংশ আসনেই আওয়ামী জোটের জয়ী প্রার্থীদের সাথে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ১ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধান রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement