প্রার্থিতা ফিরে পেতে চেম্বার আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:০০
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে খারিজ হওয়ার রিটের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও এএইচএম কামরুজ্জামান মামুন।
এর আগে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা রিট আবেদনের ওপর গত ১১ ডিসেম্বর দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত এ আদেশ দেন। যার ফলে মামলাটির নথি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। এরপর মামলাটি শুনতে বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু এই আদালতের খালেদা জিয়ার আইনজীবী শুনানি করতে অনাস্থা প্রকাশ করলে আদালত তা লিখিতভাবে আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
এরপর ১৮ ডিসেম্বর সকালে খালেদা জিয়ার রিট আবেদনের ওপর হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে অনাস্থা আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবীরা। পরে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেন এবং তাদেরকে রিটের ওপর শুনানি করতে বলেন। কিন্তু অনাস্থা আবেদন খারিজ হওয়ায় সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়া হবে বলে আদালত বর্জন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর ইসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি শেষ করলে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা ফিরে পেতে করা ৩টি রিট খারিজ করে দেন পর ওই আদেশ বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ করে দেন বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। সে আদেশের বিরুদ্ধে আজ রোববার চেম্বার আদালতে আপিল আবেদন জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৩টি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত দেন।
শুনানিতে প্রার্থিতা বহালের পক্ষে মত দেন মাহবুব তালুকদার। এর বিপক্ষে মত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৪ জন।
পরে প্রার্থিতা বাতিল করা রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত ও নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে গত ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনটি রিট দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নগুলো বাতিল করে দেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা