২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লেবেল প্লেইং ফিল্ড নিয়ে মাথা ব্যথা নেই ইসির

লেবেল প্লেইং ফিল্ড নিয়ে মাথা ব্যথা নেই ইসির - সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণাকালে সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে উল্টো আহত কর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার সময় প্রার্থীদের ওপর পুলিশের গুলির ঘটনাও ঘটেছে।

প্রার্থীদের প্রচারণায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে গুলি করলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালালেও হামলা গ্রেফতারের ভয়ে বের হতে পারছেনা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। বিষয়গুলো গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার ও প্রকাশিত হলেও লেবেল প্লেইং ফিল্ড নিয়ে মাথা ব্যথা নেই ইসির। সিইসি বলছেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত রয়েছে।

এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছেনা। তারা একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে পারছেনা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার দু:খিত মর্মাহত বলতে পারেন না। আমাদের নির্বাচন কমিশন প্রতিবেশী নেপাল, ভুটানের থেকেও খারাপ অবস্থায় আছে। আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে চলছে প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেভাবে চালানোর চেষ্টা চলছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেস্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দেশে অসহিংসতার যে পরিস্থিতি চলছে তাতে জাতি শংকিত। আসন্ন নির্বাচন ইসিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি পরীক্ষা। তাদের এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। ভোটাররা যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়পক্ষের নেতাকর্মী মার খেয়েছে। উভয়পক্ষকে এ ধরনের হামলা থেকে নিরুৎসাহিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে দোষীদেরকে আইডেন্টিফাই করে একবার আইনের আওতায় নিয়ে আসা। মির্জা ফখরুল ইসলামের ওপর হামলার বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিব্রতবোধ করছেন। তার মানে তারাও এ ধরনের হামলাকে সমর্থন করেন না। তবে ইলেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে এটার যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে উভয়পক্ষই উৎসাহ পেয়ে যাবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনে সব রকমের পক্ষপাতিত্ব শুরু করেছে সরকার এবং আমরা কখনও এই ধরনের নির্বাচনি পরিবেশ দেখিনি। নজিরবিহীনভাবে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের গ্রেফতার করছে। মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে।

রোববার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সাথে সাক্ষাৎ করে অভিযোগ জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান।

সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির কোনও প্রার্থী ঢাকায় এখনও প্রচারণায় নামনে পারেননি। পুলিশ যেন আমাদের প্রতিপক্ষ। তারা আমাদের মাঠে থাকতে দিচ্ছে না। ২০১৪ সালের মতো আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেই আমরা দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু তারা না থাকায় ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সচিব জানিয়েছেন আমাদের অভিযোগগুলো কমিশনের কাছে তোলা হয়, কমিশনে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা বলেছি পুলিশ তো কমিশনের কথা শুনছে না। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ একটা পাপেট। তাই আমাদের কথা হলো এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামাতে হবে।

লিখিত অভিযোগপত্রে বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাস, মাহবুব উদ্দিন খোকন, গোলাম মওলা রনির স্ত্রীর ওপর হামলাসহ বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায় দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানির বিষয় তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘অপতৎপরতা’ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার দাবি করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা?

সকল