২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

 স্বামীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

 স্বামীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন - নয়া দিগন্ত

স্ত্রীর উপর অমানসিক অত্যাচার ও সন্তানদের ভরোন-পোষণ না দেয়ায় জামালপুর-২ এ জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তফা আল মাহমুদের বিচার দাবী করেছে তার পরিবার। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা আল মাহমুদের স্ত্রী ও সন্তানের এমন অভিযোগ করেন।

তারা বলেন, ব্যক্তি নিজের স্ত্রী সন্তানদের খোঁজ রাখেন না, তাদের নির্যতন করেন তিনি কিভাবে জনগনের সেবক হবেন। তাই তার মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী নুজহাতুন নেছা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাদের বড় মেয়ে এ লেভেলের ছাত্রী মোবাস্সেরা মাহমুদ বুশরা ও ছেলে ও লেভেলের ছাত্র ওমর ফারুক।

লিখিত বক্তব্যে নুজহাতুন নেছা বলেন, ১৯৯৯ সালের ৬ আগস্ট পরিবারিকভাবে মোস্তফার সাথে তার বিয়ে হয়। এরপরই তাদের ঘরে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় পারিবারিক নির্যাতন। ২০০৩ সালে ছেলে সন্তানের মা হন নুজহাত। এর ৬ মাসের মাথায় মোস্তফা হঠাৎ চায়না চলে যান। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা দুই সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বাধ্য হয়ে তিনি টাঙ্গাইলে একটি কুড়ে ঘর তুলে সন্তানদের বসবাস শুরু করেন।

২০০৪ সালে খবর পান তার স্বামী চায়নায় বিয়ে করতে যাচ্ছে। এই খবর শুনে নিজের গয়না বিক্রি করে সন্তানদের চায়না গিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকা শুরু করেন। সেখানে স্বামীর বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তার উপর নেমে আসে অমানসিক নির্যাতন। একপর্যায়ে স্ত্রী সন্তানদের চায়না ফেলে দেশে চলে আসেন মোস্তফা। এরপর সন্তানদের নিয়ে চায়নাতে পড়ে থাকলেও তেমন কোন খোঁজ নেননি মোস্তফা। সেখানকার কয়েকজন বাংলাদেশিদের আর্থিক সহায়তা বেচে থাকেন তারা।

এক পর্যায়ে সেকেন্ড হোমের কথা বলে মোস্তফা তাদের মালয়েশিয়া নেয় যায়। সেখানে বসবাসতো দুরের কথা তাকে শারীরিকবাবে নির্যাতনই ছিল মোস্তফার প্রধান কাজ। মোস্তফার মারধরে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় নুজহাতুন নেছাকে। আবারো তাদের মালয়েশিয়ায় ফেলে দেশে ফিরে খোঁজ নিয়ে বন্ধ করে দেয় মোস্তফা। বাধ্য সন্তানদের নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন নুজহাত।

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে মোস্তফা তার এক চাচাত বোনের সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছেন। আর দুটি সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছেন তিনি। তাদের বড় মেয়ে বুশরা বলেন, বাবার এমন আচারন কারোই কাম্য নয়। তাদের অন্যয়ের বিরুদ্ধে আমরা বিচার চাই। ছেলে ওমর ফারুক বলেন, বাবা যেভাবে মায়ের উপর শারীরিক ও মানুসিক অত্যচার করেছে সেটা মেনে নেয়া যায় না।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে মোস্তফা আল মাহমুদ মোবাইলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই মিথ্যা। মুলত তিনি নির্বাচন করেন এটা তার স্ত্রী চান না। তার নির্বাচন ঠেকাতে এই মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হচ্ছে’।

 


আরো সংবাদ



premium cement