২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুইবার নির্বাচনে না এলে নিবন্ধন ঝুঁকি, বিএনপিকে উদ্দেশ করে ইসি

দুইবার নির্বাচনে না এলে নিবন্ধন ঝুঁকি - সংগৃহীত

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, যদি কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল পরপর দুইবার নির্বাচনে অংশ না নেয়, সে ক্ষেত্রে ওই দল নিবন্ধন ঝুঁকির মুখে পড়বে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব এ কথা বলেন।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কমিশন থেকে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তারা মিটিং করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবেন। মন্ত্রিসভায় যদি এটি অনুমোদন হয়, তাহলেই সংসদে যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি কোন পর্যায়ে আছে তার তথ্য পাইনি। যদি এটি সংশোধন হয়, তাহলে ভালো; আর না হলেও তার প্রস্তুতি আছে। আগের আরপিও দিয়েও নির্বাচনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। ফলে বিদ্যমান আরপিও দিয়ে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসি সচিব বলেন, ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এই বিষয়টি সামনে রেখে ইসি সচিবালয় বিভিন্ন প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা সারা দেশের ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি। সেগুলো প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। যখন তফসিল ঘোষণা করা হবে, তখন রিটার্নিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলোর তালিকা আমাদের কাছে পাঠাবে। এরপর সেগুলো গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আজ (মঙ্গলবার) থেকে ১০ আঞ্চলিক অফিসে ভোটার তালিকার সিডি পাঠানোর কাজ শুরু করব। প্রথমে সিলেট ও খুলনা অঞ্চলে পাঠাব। বাকিগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠানো হবে। নিয়মিত কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে বসে দিক নির্দেশনা দিচ্ছি। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল হাকিম হিসেবে যারা কাজ করবেন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পরপরই এটি শুরু হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অঞ্চলভিত্তিক হবে। যারা তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন তাদের প্রশিক্ষণও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। 

ইসি সচিব বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে, সেটা ধরেই প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ইভিএম বিষয় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার করবে কি করবে না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আরপিও সংশোধন হলে এ বিষয় কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। যদি এই সংসদে এটি নাও হয়, আমাদের অনেক স্থানীয় নির্বাচন আছে। সেখানে আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারব।

আরো পড়ুন : ত্রুটি থাকলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না : সিইসি
নয়া দিগন্ত অনলাইন ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪৮

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আইনগত ভিত্তি পেলেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আজ শনিবার সকালে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং ইভিএম ব্যবহার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

সিইসি বলেন, ‘ইভিএম অতিরিক্তভাবে চাপিয়ে দেয়া যাবে না। যতটুকু নিখুঁতভাবে ব্যবহার করা যাবে ততটুকুই ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএম নিয়ে মানুষের মাঝে সন্দেহ থাকবে, প্রশ্ন থাকবে। আমরা সেগুলো দূর করার চেষ্টা করব। পরিপূর্ণভাবে ইভিএম ব্যবহার করব। কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘এ যন্ত্র ব্যবহার করলে ভোট গ্রহণ সহজ হবে, কষ্ট কমে যাবে, ভোট গণনা সহজ হবে এবং ভোট কারচুপি হবে না।’

রাজনৈতিক দলের নেতাদের ইভিএম সম্পর্কে ভালোভাবে জানার পরামর্শ দিয়ে সিইসি বলেন, ‘জানার পর মন্তব্য করলে ভালো হয়। আমাদের অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হতে হবে। নির্বাচনের ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।’

২০১৮ সালের শেষে অথবা ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান সিইসি।


আরো সংবাদ



premium cement