২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বরিশালে হামলার অভিযোগ মনীষার, ভোট বর্জন ইশা আন্দোলনের

নির্বাচন
বাসদের মেয়র প্রার্থী মনীষা চক্রবর্তী হামলার শিকার হয়েছেন - ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে প্রথম নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বাসদের প্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, তিনি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পান, সেই কেন্দ্রে মেয়রের কোনো ভোট আর বাকি নেই। সব নৌকার পক্ষে দেয়া হয়ে গেছে বলে তিনি জানতে পারেন। তিনি এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তার ওপর আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা হামলা করে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

হামলার ঘটনায় বরিশাল সিটি নির্বাচন স্থগিত করার দাবি জানান বাসদের মেয়র প্রার্থী মনীষা।

নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
বরিশালে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান মাহবুব। পৌনে ১২টার দিকে শহরের সদর রোডে দাঁড়িয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন :
বরিশালে ভোট বর্জন বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
অনিয়ম, কেন্দ্র দখল ও ভোট ছিনতাইয়ের অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার।

আজ ভোট শুরুর চার ঘণ্টার মধ্যে তিনি এ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

আজ দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সরোয়ার অভিযোগ করেন, এ নির্বাচনে ভোট হয়নি, ভোট ছিনতাই হয়েছে, কেন্দ্র দখল করেছে বহিরাগতরা। তাই এ নির্বাচন বর্জন করা হলো।

তিনি আরো বলেন, এর প্রতিবাদে নির্বাচন অফিস ঘেরাও করা হবে এবং প্রয়োজনে আমরা আন্দোলনে যাব।

বরিশালে ২০ কেন্দ্রে ৫০ বিএনপি এজেন্টকে বের করে দেয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৩০ জুলাই ২০১৮
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর সময়ই মারাত্মক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০টির বেশি কেন্দ্রে বিএনপির প্রায় ৫০ জন এজেন্ট বের করার অভিযোগ বিএনপির। ওয়ার্ডগুলোর অন্যতম ২, ২০, ২৫, ২৭।

এদিকে বরিশালের ১ নং ওয়ার্ডে সৈয়দা মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটে ভোট দেন বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার।

তিন সিটিতে নির্বাচন : যা ভাবছেন কূটনীতিকরা
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গভীর নজর রাখবেন কূটনীতিকেরা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোকে গুরুত্বের সাথে দেখছেন তারা। কূটনীতিকদের মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকেই জাতীয় নির্বাচনের আঁচ পাওয়া যায়।

বিদেশী দূতাবাস ও হাইকমিশন, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো নিজস্ব প্রতিনিধি, স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও মিডিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনের ওপর নজর রাখবে। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে পর্যবেক্ষণ নিজ নিজ সদর দফতরকে জানাবে মিশনগুলো।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিনটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে মার্কিন দূতাবাস বলেছে, একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর দিন মুক্তভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চাকারীদের সিটি করপোরেশনে তাদের নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ দেবে।

নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের এক পোস্টে বলা হয়েছে, মুক্ত, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যেকোনো গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ বহু দূর এগিয়ে গেছে। সব স্তরে শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিকে সমর্থন ও আরো এগিয়ে নিতে পারে।

এর আগে খুলনা ও গাজীপুরের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অনিয়মের সমালোচনা করে সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রোষানলে পড়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিকাব) সাথে মতবিনিময়ে বার্নিকাট বলেছিলেন, গাজীপুর নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে জোর করে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, নির্বাচনের দিন এবং তার আগে রাজনৈতিক কর্মী ও পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ অনিয়মের খবরে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র বলতে কেবল নির্বাচন বোঝায় না। দুই নির্বাচনের মাঝে সরকারের কর্মকাণ্ড, জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতার বিষয়গুলো এর সাথে জড়িত। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরিবেশের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আঁচ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্য অংশীদারদেরও উদ্বেগ রয়েছে, যা সামনের দিনগুলোতে প্রকাশ্যে আসবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে হবে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচনী ফলাফলে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে। বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় আইন ও অভিজ্ঞতা। এখন তা কাজে লাগাতে হবে।

সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক করেছেন বার্নিকাট। এরপর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে সব দলকে সমান সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। সংসদ নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় সে বিষয়ে আমরা কমিশনকে বলেছি। আর আমার বক্তব্যই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বক্তব্য।’


আরো সংবাদ



premium cement