২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভিসির আশ্বাস প্রত্যাখান করে অনশনে রাবি শিক্ষার্থীরা

ভিসির আশ্বাস প্রত্যাখান করে অনশনে রাবি শিক্ষার্থীরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিভাগের নাম পরিবর্তনের করে ফলিত পরিসংখ্যান করার দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে বুধবার সকাল ১০টা থেকে এ পর্যন্ত টানা আমরণ অনশন করেন তারা। এ সময় ভিসির আশ্বাস প্রত্যাখান করে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এতে এ পযর্ন্ত প্রায় ২০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে। তারা হলেন, তপশ্রী শারনাল, সোহাগ, নিশি খাতুন, মোবাশশির উল্লাহ, আবির হাসান, আয়নাল, সাগর নাঈম, ফারজানা ইয়াসমিন লিজা, অর্পিতা পূজা, শুলেখা খাতুন প্রমুখ।

অসুস্থদের মধ্যে ৬ জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ৪১ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর বাকিরা অনশনস্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে শুয়ে অবস্থান করছে শিক্ষার্থীরা। এদের মধ্যে অনেকের শরীরে স্যালাইন ঝুলানো রয়েছে। আবার অনেকেই বিভাগের নাম পরিবর্তন চাই, পরিবর্তন চাই এমন স্লোগান দিচ্ছে। জীবন শেষ হয়ে গেলেও বিভাগের নাম পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি থেকে ফিরে আসবেন না বলে জানিয়েছেন।

বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াকুব আলী সজিব জানান, অনেক আশ্বাস দেয়া হয়েছে তবে বাস্তবে প্রতিফলন ঘটেনি। এমন পরিস্থিতির জন্য বিভাগের শিক্ষকদের অবহেলাকে দায়ি করেন। এখন আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, কোনো আশ্বাস শুনতে চাই না, বাস্তবায়ন চাই, নাম পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঘটনাস্থলে হাজির হন বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যপক ড. এম আব্দুস সোবহান। সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেন। আগামী দুই মার্চ বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ^ত করেন। এরপরও শিক্ষার্থীরা ভিসির প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করে পুনরায় অনশন শুরু করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

এর আগে বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান। কিন্তু বিভাগের শিক্ষকরা কোন খোঁজ খবর না নিলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন আন্দোলন করে আসছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

 


আরো সংবাদ



premium cement