২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

জনগণ কচুরিপানা খাবে না, মন্ত্রীরা খাওয়ায়েই ছাড়বে : রাশেদ

- সংগৃহীত

সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রীর কচুরিপানা খাওয়ার কথাটি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে। যদিও তিনি পরের দিনই জানিয়েছেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তিনি মূলত গবেষণার কথা বলেছেন।

কচুরিপানা খাওয়া যাবে কি যাবে না এনিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কচুরিপানা খাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে একজন যুবককে কচুরিপনা খেতে দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে আবার নানা মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা।

তবে এবার কচুরিপানা খাওয়া নিয়ে নিজের ফেসবুট অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। নয়া দিগন্ত অনলাইনের পাঠকদের সুবিধার্থে তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো...

‘জনগণ কচুরিপানা খাবে না, মন্ত্রীরা খাওয়ায়েই ছাড়বে।

তারা হয়তো ভুলে গেছে, দেশভেদে খাবারের ভিন্নতা পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে। বাঙালিরা মাছ ভাত, ডাল, সবজি খেয়ে অভ্যস্ত। কিভাবে গবেষণা করে এইসব খাবারের উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলবে, তা না তারা কচুরিপানা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

কচুরিপানার উত্তম ব্যবহার যে এই দেশে হয়, তারা হয়তো জানে না। নদী, খাল বিলে পাটের যে জাগ দেয়া হয়, সেটার জন্য কচুরিপানা লাগে। বরং অনেকসময় পাট জাগ দেয়ার জন্য যে পরিমাণ কচুরিপানা লাগে, তা কৃষকরা খুঁজে পায় না। আবার আজকাল কচুরিপানা উপর ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ হচ্ছে।

আপনারা কচুরিপানা খাওয়ার গবেষণার জন্য যে টাকা ব্যয় করবেন, সেটা ধান, গম, সবজি, মাছ, চাল, সবজির পিছনে ব্যয় করুন। এগুলো আমাদের কমন খাদ্য। বাঙালিরা এখন পেটে ভাত দিয়ে বেঁচে থাকতে চায়। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত হলে, তখন অকাজের জিনিসের পিছনে গবেষণা কইরেন। আগে জনগণকে বাঁচান, এরপর বিলাসিতা.....’

 


আরো সংবাদ



premium cement