১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাষ্ট্র জনসাধারণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ : ভিপি নূর

রাষ্ট্র জনসাধারণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ : ভিপি নূর - ছবি : সংগৃহীত

রাষ্ট্র জনসাধারণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, তাতে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন নিপীড়ন বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নূর। শনিবার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুম্পা হত্যার বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, ফারুক হাসান, আবু হানিফসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

নূর বলেন, রাষ্ট্রীয় নির্যাতন, নিপীড়নমূলক শাসনতন্ত্রে কথা বলতে পারছে না জনণগ। আমাদের বোন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, সেখানেও প্রতিবাদ গড়ে তুলতে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আমাদেরকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। এসবের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলেও জানান তিনি।

মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ-ইভটিজিংয়ের মত ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু এসব অপকর্মের বিচার নাই। প্রতিকারও নাই। যেখানে একজন পুলিশের মেয়ে নিরাপদ নয়, সেখানে আমাদের মা-বোনও নিরপাদ নয়।
ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, সে দেশে আজকে ধর্ষণ নির্যাতন হয় অহরহ। নারী হয়েও এসব বন্ধ করতে না পারলে এদেশে কখনো উন্নয়ন হবে না।

এর আগে গত বুধবার রাতে সিদ্ধেশ্বরী এলাকার রাস্তা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন রাতে স্বজনেরা রমনা থানায় লাশের ছবি দেখে শারমিনের পরিচয় শনাক্ত করেন। এক ভাই, এক বোনের মধ্যে শারমিন ছিলেন বড়। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক।

জানা য়ায়, শান্তিবাগে ভাড়া বাসায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন শারমিন। একই বাসায় তার চাচার পরিবারের সদস্যরাও থাকতেন। তিনি মারা গেলেন প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে সিদ্ধেশ্বরীতে। সেখানে তাঁর কোনো আত্মীয়স্বজনের বাসাও নেই। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়াতেই তারা হত্যা মামলা নিয়েছেন।

পারিবার সূত্রে জানায়, দু’টি টিউশনি করে বুধবার সন্ধ্যায় শারমিন বাসার নিচে আসেন। ওপরে না উঠে তিনি মুঠোফোনে চাচাতো ভাইকে নিচে নামতে বলেন। তার কাছে আংটি, কানের দুল, মুঠোফোন, ব্যাগ দিয়ে দেন। এর পর পুরোনো এক জোড়া জুতা আনতে বলেন। চাচাতো ভাই জুতা নিয়ে আসার পরে সেই জুতা পরে তিনি চলে যান। রাতে আর বাসায় ফিরে আসেননি। স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে সিদ্ধেশ্বরী এলাকার রাস্তা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement