খোলার প্রথম দিনই জাবিতে ভিসি অপসারণ আন্দোলন
- জাবি সংবাদদাতা
- ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:৫৫
দীর্ঘ একমাস বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার খুলেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সকল আবাসিক হল। ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছে ছাত্রছাত্রীরা। খোলার প্রথম দিনেই আবারো ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘দুর্নীতি বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে দুই প্রশাসনিক ভবন ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রদক্ষিণ করে বটতলা এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে গত ৫ নভেম্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রশাসনের ইন্ধনে গতমাসের এইদিনে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে। ছাত্রলীগের হামলাকে ভিসি ‘গণঅভ্যুত্থান’ দাবি করে সারাদেশে নিন্দিত হয়েছেন। বিভিন্নভাবে আন্দোলনকারীদের হয়রানি ও চাপ দেয়া হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এসবের মাধ্যমে ভিসির দুর্নীতির খতিয়ান আরো দীর্ঘ হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলছে। আমরা চাই জাবির দুর্নীতির ক্ষেত্রেও এ নীতি বাস্তবায়ন করা হোক। অন্যথায় আমরা জাবিকে কলঙ্কমুক্ত করার আগ পর্যন্ত থামবো না।’
সমাবেশে আন্দোলনের সংগঠন মুশফিক উস সালেহীন বলেন, ‘গতমাসে ছাত্রলীগের হামলার পরেও আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে উস্কানি দিলে জাহাঙ্গীরনগর আবার অস্থির হবে।
সমাবেশ ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে’র সঞ্চালনায় সমাপনী বক্তৃতায় ‘দুর্নীতির বিরোধী জাহাঙ্গীরনগর’র মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন আগামী ১০ ডিসেম্বর জনসমক্ষে ভিসি ফারজানা ইসলামের দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এসময় আন্দোলনকারী অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক র্মিজা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক ফজলুল করিম তালুকদার, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, অধ্যাপক তারেক রেজা, অধ্যাপক সাইদ ফেরদৌস, সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হামান মাহমুদ, সহকারী অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক শাকিল-উজ-জামানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সিডিউল পরিবর্তন করে রাতে সময় কমিয়ে আনার প্রতিবাদে লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা পূর্বের সিডিউলে লাইব্রেরি পরিচালনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।