২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিএম কলেজের অনিয়ম তদন্তে দুদক, ব্যাংক হিসাব জব্দ

- ছবি : সংগৃহীত

সরকারি বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তিন সদস্যের একটি দল কলেজে গিয়ে ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।

বুধবার সকালে তদন্ত দলের প্রধান রনজয় কুমার সাংবাদিকদের জানান, কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তারা তদন্তে নেমেছেন।

তদন্তের প্রথমদিনে তারা মঙ্গলবার কলেজের আটটি বিভাগীয় দপ্তরে গিয়ে সংশ্নিষ্ট কাগজপত্র যাছাই-বাছাই করেন। পরে তারা অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম সিকদারের সাথে কথা বলে কলেজের ব্যাংক হিসাব নম্বরগুলো যাছাই-বাছাই করে দেখছেন।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তিতে ইনকোর্স ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৪০ টাকা করে নেওয়া হয়। এভাবে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা আদায় করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আদায় করা এ টাকা ব্যাংকে জমা না হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে দুদকের তদন্ত দল।

কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, দুদকের তদন্ত দলের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ব্যাংকের হিসাব নম্বর দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভর্তির সময় সেমিনার ফি রাখা হয়ে থাকে। বিগত সময়গুলোতে প্রতিবছরের সেমিনার ফি প্রতিবছর রাখার কারণে ফরমপূরণের সময় শিক্ষার্থীদের কষ্ট হয়। তাই এবার শুরুতেই চার বছরের সেমিনার ফি একসাথে নেয়া হয়েছে। যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে। একত্রে সেমিনার ফি রাখার বিষয়টি সম্পর্কে দুদকের তদন্ত কমিটির কাছে যাবতীয় তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

অপরদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত সময়ে অনুষদ অনুযায়ী সেশন ফি প্রতিবছরেরটা প্রতিবছর রাখা হলেও এবারই প্রথম একবারে চার বছরেরটা রাখা হয়েছে। এতে অনুষদ অনুযায়ী কারও দুই হাজার আবার কারও আরো বেশি টাকা একত্রে দিতে হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement