২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নতুন নেতৃত্বে ঢাবিতে ছাত্রদলের মিছিল

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের মিছিল - নয়া দিগন্ত

১০ বছর পর নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে যান জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। রোববার সকাল সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি আল মেহেদী তালুকদারকে সাথে নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেন ছাত্রদলের নতুন সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।

এ সময় ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীও অন্যান্য দিনের মতো সেখানে ভিড় করেন। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ সেখানে পৌছলে প্রথম থেকেই উভয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের নেত্রীর নামে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন।

অবশ্য ছাত্রদলের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ পৌছানোর আগে থেকেই ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসকে মধুর ক্যান্টিনে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। প্রথমে মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল এবং আল মেহেদী তালুকদার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। কিন্তু ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিতের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে কুশল বিনিময় করার চেষ্টা করলেও সনজিতের অসহযোগিতার জন্য তা পারেননি ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।

এরপর শ্যামল আর আল মেহেদী তালুকদার মধুর ক্যান্টিনের বাম পাশের টেবিলে বসলে ষেকানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে স্লোগান দেন ও ভিড় করতে থাকেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রথম দিকে স্বাভাবিকভাবে স্লোগান দিলেও মাঝপথে আক্রমণাত্মক স্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগকে। ‘খালেদার চামড়া তুলে নেবো আমরা’, ‘খালেদার দুই গালে জুতা মার তালে’, ‘ছি! ছি! খালেদা লজ্জায় বাঁচি না’, ‘জয় বাংলা’ ইত্যাদি স্লোগানের সঙ্গে করতালি দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। অন্যদিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শুধু ‘খালেদা, জিয়া’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।

মধুর ক্যান্টিনে পৌনে এক ঘণ্টার মতো অবস্থান করে বের হয়ে ছাত্রদলের নতুন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম মধুর ক্যান্টিনে এসেছি। কিন্তু ছাত্রলীগ আমাদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করেনি। তারা উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়েছেন। আমরা বলব ক্যাম্পাসে এখনো সহাবস্থান নিশ্চিত হয়নি।’

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রথম পদক্ষেপ কী- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সব সময় পাশে থাকবে। আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর সহাবস্থান এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে ভিসির সাথে আলোচনা করব।’


আরো সংবাদ



premium cement