মাঝ রাতে ফের অবস্থান ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
- ২৭ মে ২০১৯, ০৭:৩৩
ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় বিতর্কিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে সংগঠনটির আদর্শিক পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে পদবঞ্চিতরা। এ সময় পদবঞ্চিতরা জানান, বিতর্কিতদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলে তার আত্মা কষ্ট পাবে বলে মনে করছেন তারা।
রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে তারা এ অবস্থান শুরু করে। এ সময় তারা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের দাবি করেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে জানিয়েছেন তারা।
বিক্ষুব্ধ নেতারা বলেন, শোভন-রাব্বানী নিজেদের পছন্দমতো বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তান, রাজাকারের সন্তান, মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী, হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা শেখ হাসিনার আদরের ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছে। যেটি জাতির জনকের আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে ছাত্রলীগের বোনদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরো বলেন, মধুর ক্যান্টিনের ঘটনায় ইতোপূর্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে যে কমিটির প্রতি আমাদের বিন্দুমাত্র আস্থা ছিল না। কারণ যারা হামলাকারী তাদের দিয়ে কমিটি গঠন করেছেন শোভন-রাব্বানী। একইসঙ্গে নিজেদের ইচ্ছামতো ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ভিকটিমদের বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেটি হাস্যকর। আমরা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।
ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জামায়াত-শিবির ও বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন না করে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাওয়া অন্যায়। বিতর্কিতদের নিয়ে জাতির জনকের সমাধিতে ফুল দিলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা কষ্ট পাবে। একইসঙ্গে আপার নির্দেশনা অমান্য করে ফুল দিতে যাওয়ার প্রতিবাদে আমরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি।
তিনি আরো বলেন, অবিলম্বে বিতর্কিতদের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করা হোক। মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে ছাত্রলীগের ভাই-বোনদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিগত ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। অন্যথায় আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচী ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, সদস্য তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা