২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ছাত্রলীগ নেতাকে ইয়াবা সেবনে বাধা দেয়ায় ৪ কর্মীকে মারধর

ছাত্রলীগ নেতাকে ইয়াবা সেবনে বাধা দেয়ায় ৪ কর্মীকে মারধর - সংগৃহীত

ইয়াবা সেবনে বাধা দেয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চার কর্মীকে মারধর করেছে শাখা ছাত্রলীগেরই সাবেক এক নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকার ক্যাম্পাস বাস ডিপোতে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতার নাম রাজিবুল হাসান রাজিব। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী (৩৮তম ব্যাচ) এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

অন্যদিকে ইয়াবা সেবনে বাধা দেয়ায় মারধরের শিকার চার ছাত্রলীগ কর্মী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আজিমুশশান নওরোজ প্রণয়, ফার্মেসি বিভাগের মাহমুদুল হাসান, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিপ্লব হোসেন ও মার্কেটিং বিভাগের আবুল কালাম আজাদ। আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম ব্যাচের ও বাকিরা ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানার অনুসারী।

মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল থেকে বাইকে তেল ভরে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন চার শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ডিপোর কাছাকাছি পৌছালে তারা পরিত্যাক্ত একটি বাস থেকে হট্টগোলের আওয়াজ পান। এসময় তারা বাসে অবস্থানরতদের বের হয়ে আসতে বলেন। তারা বাস থেকে নেমে আসলে শিক্ষার্থীরা তাদের ‘বাসের মধ্যে কি করছিলেন? - তা জিজ্ঞাসা করেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন এবং রাজিবের নেতৃত্বে তিন থেকে চারজন স্থানীয় লোক শিক্ষার্থীদের মারধর করে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গিয়ে সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে এবং রাজিব ও তার সহযোগীদের মারধর করে। এসময় রাজিবকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে একজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জুয়েল রানার উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা হয়।

মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন,‘রাজিবসহ কয়েকজন বাসে ইয়াবা খাচ্ছিলো বুঝতে পেরে আমরা তাদেরকে নেমে আসতে বলি। তারা বাস থেকে নেমেই আমাদেরকে মারধর শুরু করে। এছাড়াও রাজিব বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করে বলেও আমাদের কাছে তথ্য আছে।’

এ বিষয়ে জানতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজিবুল হাসান রাজিবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগর চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘মাদক গ্রহণের বেশ কিছু চিহ্ন অভিযুক্ত রাজিবের শরীরে পাওয়া গেছে। মুচলেকা নিয়ে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। সেই সঙ্গে তাকে রিহাবে পাঠানোর জন্যও তার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছি।’


আরো সংবাদ



premium cement