২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা

অনশন ভাঙাচ্ছেন প্রফেসর নেহাল আহমেদ - ছবি : নয়া দিগন্ত

কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন ঢাকা কলেজের সামনে আমরন অনশনে থাকা চার শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদ জুস পান করিয়ে এ চার শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙান। শুরুতে তিন শিক্ষার্থী অনশন শুরু করলেও বিকালে আরেক শিক্ষার্থী অনশনে যুক্ত হন।

অনশন ভাঙানোর আগে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদ শিক্ষার্থীদের চলমান সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে রাতে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন কিছুদিনের মধ্যে এ সমস্যার সমস্যার সমাধান হবে। তিনি আরো জানান, সাত কলেজে শিক্ষার উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয় বুধবার অধ্যক্ষ সাথে আলোচনা করা হবে। বৈঠকের সাত কলেজের বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকে আগামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সভায় উত্থাপন করতে পরামর্শ দেয়া হবে।

এর আগে ঢাকা কলেজের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানেরা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করলেও তেমন কোনো আশ্বাস
না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাতে উপাধ্যক্ষ আশ্বাসে অনশন ভাঙেন। এই সময় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির সরকারি সাত কলেজের তীব্র সেশন জট, ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল এবং ফলাফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রিতাসহ নানান সমস্যার সমাধান দাবিতে ঢাকা কলেজের গেটের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী।

এই তিন শিক্ষার্থী হলেন - ঢাকা কলেজ বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্র আবু নোমান রুমি, ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ২০১৬-১৭ সাবিক, ২০১৭-১৮ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাইফুল ইসলাম।

এর আগে মঙ্গলবার সাত কলেজের তীব্র সেশন জট, ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল এবং ফলাফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রিতাসহ নানান সমস্যা সমাধান দাবিতে মানববন্ধন শেষে নীলক্ষেত মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে পাঁচদফা দাবি ঘোষণা করে ঢাবির অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সময় বিকাল ২টা পযন্ত সড়কও অবরোধ করে তারা।

শিক্ষার্থীদের পাঁচদফা দাবি হচ্ছে,
১) পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটি মুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একটি বর্ষের সব বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ করতে হবে। ২) ডিগ্রী, অনার্স, মাস্টার্স সব বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনঃ মূল্যায়ন করতে হবে। ৩) সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন তৈরি করতে হবে। ৪) প্রতি মাসে প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টে প্রতি কলেজে দুইদিন করে মোট ১৪ দিন ঢাবির শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হবে। ৫) সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রামের চালু করতে হবে ।

উল্লেখ্য যে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ। একই বছর পরীক্ষার রুটিনের দাবিতে আন্দোলনে গিয়ে দুই চোখ হারায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান৷


আরো সংবাদ



premium cement