২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

‘শিক্ষাবান্ধব ফি চাই’ আন্দোলনে ইবি শিক্ষার্থীরা

আন্দোলনের একপর্যায়ে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ইবি শিক্ষার্থীরা - নয়া দিগন্ত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

জানা যায়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি ফিসহ বিভিন্ন খাতে ফি বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বর্ধিত এই ফি কমানোর দাবিতে গত বছর থেকে আন্দোলন করে আসলেও ক্যাম্পাস প্রশাসন তা আমলে নেয়নি।

শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা আমার সুযোগ নয়, শিক্ষা আমার অধিকার, শিক্ষাবান্ধব ফি চাই, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ কর’, ‘পরিবহন ফি’র সংস্কার চাই’ আমার ভাই অনশনে, প্রশাসন কেন এসি রুমে’ এমন নানা শ্লোগানে আন্দোলন করছেন তারা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে ভিসির সাথে ১০ জন প্রতিনিধির বৈঠকের প্রস্তাব দিলে শিক্ষার্থীরা তাতে রাজি না হয়ে দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানায়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি ফিসহ সকল প্রকার ফি পূর্বের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের জন্য খুবই কষ্টকর। পূর্বের তুলনায় ফি বৃদ্ধি করার সাথে সাথে আরও কয়েকটি খাতও বৃদ্ধি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় এর প্রতিবাদ করলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি প্রশাসন। আমরা চাই ফি সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনা হোক।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ‘ফি বৃদ্ধি করে সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে ১৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। এতে আগের চেয়ে ৯ হাজার টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে। যা বহন করা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। ফি’র যৌক্তিক সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে দিলে দুপুরের বাস ক্যাম্পাস থেকে শহরের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়নি। পরে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিনের আশ্বাসে বিকেল ৪টার দিকে এ অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন : সাত বছর নিখোঁজ ইবির শিক্ষার্থীর স্মরণে দোয়া
ইবি সংবাদদাতা, (০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী ছাত্রনেতা অলিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাসের স্মরণে দোয়া মাহফিল করেছে ইবি শাখা ছাত্রশিবির। সোমবার তাদের স্মরণে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি র‌্যাব-৪ ইউনিটের পোশাক পরিহিত ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অলি ও মুকাদ্দাসকে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়। এর পর থেকে ৭ বছর অতিক্রম হলেও আজও কোন খোঁজ মেলেনি তাদের। পরিবার ও সহপাঠিদের পক্ষ থেকে হাজারো আহাজারি করা হলেও তাদের অনুসন্ধানে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।

এর পর থেকে ৭ বছর অতিক্রম হলেও আজও কোন খোঁজ মেলেনি তাদের। পরিবার ও সহপাঠিদের পক্ষ থেকে হাজারো আহাজারি করা হলেও তাদের অনুসন্ধানে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।


আরো সংবাদ



premium cement