২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালিত

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ববি শিক্ষক সমিতির

৮ দফা দাবিতে বুধবার অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শিক্ষক সমিতি - নয়া দিগন্ত

আট দফা দাবিতে ৭ম দিনের মত অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শিক্ষক সমিতি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলে।

অবস্থান ধর্মঘট সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন বলেন,‘আমরা যে আট দফা দাবিতে আন্দোলন করছি তা সম্পূর্ণ যৌক্তিক। কিন্তু ভিসি আমাদের দাবি বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভিসি আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।’

অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, চেয়ারম্যান নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন, পদোন্নতি ও পদায়নে অনিয়ম, চাকরি স্থায়ীকরণে বিলম্ব ও শিক্ষাছুটিতে পক্ষপাত অনিয়মসহ সুস্পষ্ট আটটি অনিয়ম দূরীকরণের জন্য অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া, কোষাধাক্ষ্য, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দেয়ালে শিক্ষার্থীদের রক্তে লেখা ‘ভিসির পদত্যাগ চাই’
বরিশাল ব্যুরো, (০৪ এপ্রিল ২০১৯)

শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পরও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভিসি পদত্যাগ না করায় নিজেদের রক্ত দিয়ে ক্যাম্পাসে দেয়াল লিখন করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। টানা আন্দোলনের নবম দিনের মাথায় বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা আড়াইটায় নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়ে দেয়াল লিখতে থাকে। এ সময় একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা এক এক করে রক্ত দিতে থাকেন এবং সেই রক্ত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান লেখা হয় এবং ক্যাম্পাসজুড়ে পোস্টারিং করা হয়।

এর আগে প্রতিদিনের মতো সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে অ্যাকাডেমিক ভবনের প্রশাসনিক শাখার সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। ববি ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সেখানে স্লোগান দেন তারা। গত ১ এপ্রিল বরিশাল জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এর পরপরই তারা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।

বেলা ২টায় ওই আলটিমেটামের মেয়াদ শেষ হয়। তবে আলটিমেটামের মেয়াদ শেষ হলেও ভিসি পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ভিসিকে এই ক্যাম্পাসে আসতে হলে শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর দিয়ে আসতে হবে।

তবে ভিসি ড. এস এম ইমামুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কোনো অবস্থাতেই পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। এ ছাড়া শিগগিরই অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ দিকে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমানসহ শিক্ষক সমিতির নেতারা শিক্ষার্থীদের সাথে সমঝোতার জন্য ক্যাম্পাসে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি ‘আগে ভিসির পদত্যাগ, তারপর সমঝোতা’। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের না জানানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে গালি দিলে আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে এই বন্ধের পরও হল ত্যাগ না করে টানা ৯ দিন আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement