২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যালয় ভবনের ছাদের প্লাস্টার ভেঙে শিশু শিক্ষার্থী আহত

আহত ছাত্র তুষারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশে ভবনের ছাদের চিত্র - নয়া দিগন্ত

সিদ্ধিরগঞ্জে উত্তর আজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের প্লাস্টার ভেঙে তুষার আহমেদ (৮) নামে ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রের মাথা ফেটে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে তুষারের মাথা ফেটে গেলে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।

খবর পেয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে জরাজীর্ণ ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেন। এ সময় তিনি জরাজীর্ণ ওই ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান থেকে বিরত রাখা হবে বলে জানান।

তিনি বলেন, পুরাতন ভবনটিতে পাঠদান বন্ধ করে দেয়ায় স্কুলের শ্রেণিকক্ষের সংকট দেখা দিয়েছে। ১৯৯৫ সালে এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়ে আরিফুল হক হাসান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গত বছর একটি অনুষ্ঠানে এসে এ স্কুলটি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। ওই সময়ই এ স্কুলের পুরাতন ভবনটি ভেঙে নতুন একটি ভবন তৈরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে প্রকৌশলীরা এসে স্কুল পরিদর্শন করে গেছেন। আশা করি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমরা একটি নতুন ভবন পেয়ে যাবো।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই কামরুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, দুপুরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের প্লাস্টার ভেঙ্গে শিক্ষার্থীদের মাথার উপর পড়ে এক শিশু আহত হয়। পরে তাকে স্থানীয়রা চিকিৎসা দিয়েছেন।

 

আরো পড়ুন : আবারো ধসে পড়ল শ্রেণিকক্ষের ছাদ, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে শিক্ষার্থীরা
গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা, ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৩৫

বরগুনার তালতলী উপজেলায় পাঠদান চলাকালে পিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের বিম ধসে ছাত্রী নিহত হওয়ার শোক কেটে উঠতে না উঠতেই মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটের সময় বরগুনা পৌর শহরের আমতলা পাড় এলাকার ১৬ নং মধ্য বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ ধসে পড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

বিম ধসের এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় রিফাত নামের ৫ বছর বয়সী প্রাক প্রাথমিকের এক শিক্ষার্থী। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শামীমা নিপা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, যে শ্রেণিতে ছাদের একাংশ ধসের ঘটনা ঘটছে ওই শ্রেণিতে প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছিল। যেই স্থানে ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে সেই স্থানে রিফাত নামের পাঁচ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থী বসা ছিল। রিফাত ইউনিফর্ম পরে না আসার কারণে তাকে আমি ইউনিফর্ম পরতে বাসায় পাঠাই। রিফাত ওই স্থান থেকে উঠে যাওয়ার এক থেকে দেড় মিনিটের ব্যবধানে ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে। দুই বছর আগে আমি এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করি। এই দুই বছরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে কোনো সংস্কার হয়নি। এমনকি ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া এবং এ ভবনের ছবিসহ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কর্ণপাত করেননি বলেও তিনি জানান।

১৯৯৪ সালে চার লাখ বিশ হাজার টাকায় এলজিইডি এ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করে। বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীসহ অন্যান্য রুমের ছাদেও বিমে ফাটল রয়েছে। চরম ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান কার্যক্রম চলছে।

এ বিষয়ে বরগুনার সদর উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, এ ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভবনটির যে যে স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে, সে স্থানের পলেস্তারা ফেলে দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে বরগুনার তালতলীর ৫ নং পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ ধসে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মানসুরা (৮) নিহত হয়। আহত হয় একই শ্রেণির আরো চার শিক্ষার্থী। নিহত মানসুরার বাবার নাম মো. নজির হোসেন তালুকদার। তিনি পেশায় একজন কৃষক। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মানসুরা ছোট। এ ঘটনায় আহতরা হলো সাদিয়া আক্তার, রুমা, ইসমাইল এবং শাহিন। তারা সবাই তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।


আরো সংবাদ



premium cement