২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গভীর রাতে রাস্তায় বাকৃবির ছাত্রীরা

সিট সংকট নিরসনের দাবিতে গভীর রাতে হলের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বাকৃবির বেগম রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রীরা - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রীদের আবাসিক বেগম রোকেয়া হলে সিট সংকট নিরসনের দাবিতে গভীর রাতে বিক্ষোভ করেছেন হলের ছাত্রীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে হলের সামনে প্রধান সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন ওই হলের প্রায় শতাধিক ছাত্রী। এরপর একাধারে রাত ৩টা পর্যন্ত হলের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেন ছাত্রীরা।

আন্দোলনকারী ছাত্রীদের অভিযোগ, গত বছরে হলে সিট সংকট দেখা দিলে মার্চে এবং সেপ্টেম্বরে হলের কাজ শুরুর জন্য তারা একাধিকবার আন্দোলন করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত বছরের ডিসেম্বরে ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার কাজ শুরু করার আশ্বাস দেয়। কিন্তু এ বছরেও কাজ শুরু করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, নিয়মতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বেগম রোকেয়া হলের একটি ব্লকের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার কাজ স্থগিত আছে। তবে খুব শিগগিরই হলের কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করছি। হলের কাজ শেষ হলেই শিক্ষার্থীদের সিট সমস্যার সমাধান হবে।

আন্দোলনের একপর্যায়ে হলের ভবনের কাজ শুরু করার দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, হল প্রভোস্টসহ শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধানের মৌখিক আশ্বাস দেন। কিন্তু কাজ শুরুর বিষয়ে লিখিত আশ্বাস দাবি করেন ছাত্রীরা। তবে কাজ শুরুর বিষয়ে শিক্ষকরা লিখিত আশ্বাস দিতে অপরাগতা জানালে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. তানভীর রহমান বলেন, দ্রুতই ভবনের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করার পর ছাত্রীরা রাত ৩টায় হলে ফিরে গেছে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও ছাত্রী উঠানো শুরু হয়। তবে দুই বছর ছাত্রী উঠানো হলেও ২০১৯ সালেও শেষ হয়নি ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার কাজ। এতে সিট সংকটে পড়েছে ওই হলের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীরা এখনও গণরুমে (হলের ডাইনিং রুম) রয়েছে, যেখানে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীদেরকে প্রতি বিছানায় দুইজন করে থাকতে হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement