২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রক্টরের ক্ষমতার অপব্যবহার : রাবি হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ

প্রক্টরের ক্ষমতার অপব্যবহারে রাবি হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ - ছবি : সংগ্রহ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষকে না জানিয়ে ছাত্রলীগের এক অবৈধ শিক্ষার্থীকে প্রক্টর হলে তুলে দেওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মু আলী আসগর। সোমবার দুপুরে হলের টিভি রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রাধ্যক্ষ। পরে বিকেল সাড়ে ৪ টায় প্রক্টর দফতরে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রক্টর। সেখানে তার বিরুদ্ধে আনিত এই অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান।

প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ পত্র সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি ১২০নং কক্ষে আবাসিকতা থাকা সত্ত্বেও এক শিক্ষার্থীকে বের করে জনি মিয়া নামে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে শারীরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের ছাত্র অবস্থান করে। এমতাবস্থায় হল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে হল প্রশাসন ওই দিন বিকেলে অবৈধভাবে অবস্থানকারী জনি মিয়াকে তার জিনিসপত্রসহ মতিহার হল থেকে বের করে দিয়ে হল কর্তৃক ১২০নং কক্ষে আবাসিকতাপ্রাপ্ত ছাত্রকে ওঠানো দেওয়া হয়।

ঘটনার বিবরণে আরো জানা উল্লেখ করা হয়, ওই দিন সন্ধ্যায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান মতিহার হলে আসেন। হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ও অনুপস্থিতিতে আবাসিক শিক্ষার্থীকে বিতাড়িত করে অবৈধভাবে অবস্থানকারী জনি মিয়াকে হলে অবস্থানের ব্যবস্থা করেন।’ যা নৈতিকভাবে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

এদিকে প্রক্টরের বিরুদ্ধে প্রাধ্যক্ষের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, আমি ওই ছেলেকে হলে তুলে দেইনি। ওইদিন প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় শৃঙ্খলার স্বার্থে প্রাধ্যক্ষের সাথে একাধিকাবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। পরে আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। ছেলেকে হলে তুলে দেওয়ার সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই।

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আসগর বলেন, প্রক্টর মহোদয়ের অনধিকার চর্চা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে মতিহার হলের ওই কক্ষে আবাসিকতা প্রাপ্ত ছাত্রকে বিতাড়িত করে অবৈধ শিক্ষার্থী জনি মিয়াকে অবস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। যা নৈতিক ভাবে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সেকারণে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান প্রাধ্যক্ষ।

এর আগে ওই শিক্ষার্থীকে বের দেওয়ায় হল গেটে তালা দেওয়াসহ প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এতে ওই হলের ছাত্রলীগ নেতা মোহন প্রাধ্যক্ষকে না জানিয়েই জনি মিয়াকে হলে তুলে দেন। ফলে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আসগর বিষয়টি জানতে পেরে ওই অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় ওই কক্ষে তালা দিয়ে হল গেটে বিক্ষোভ করেন হল ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।


আরো সংবাদ



premium cement