২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সরকারি চাকরি করে এত সম্পত্তি!

মো: রমিজ উদ্দিন সরকার - সংগৃহীত

বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো: রমিজ উদ্দিন সরকারের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল রোববার দুদকের উপপরিচালক ঋত্ত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়। দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্তে গিয়ে তারা প্রাথমিকভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় পেয়েছেন। রাজধানীতেই তার রয়েছে ৫টি বাড়ি, গাজীপুরে একরের পর একর জমি। জন্মভূমি কুমিল্লাতেও একই অবস্থা। পিছিয়ে নেই স্ত্রীও। তার নামেও রয়েছে জমাজমি আর পুঁজিবাজারে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ।

জানা গেছে, রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরা ৫নং সেক্টরের ২নং রোডে সাততলা, মিরপুরের পূর্ব মনিপুর ১৩০৭/ডি ছয়তলা, মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্কভিটা রোডে চারতলা ফ্ল্যাট, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮নং রোডের ২০২ ব্লক-ডি তে ৪.৫ কাঠা জমির ওপর ৫টি দোকান ও টিনসেড বাড়ি, পূর্ব রামপুরা ১৭৭/৫/১ এলাকায় ৯.৪৮ শতাংশ জমি ওপর বাড়ির তথ্য পেয়েছে দুদক।

এ ছাড়া টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে ৩০ একর জমি রয়েছে তার। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে একরে একরে জমি। জেলার মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি।
পুঁজিবাজারেও এই দম্পতির নামে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়াও নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে দুদকের তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে।

এ ছাড়া রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক। ২০১৮ সালে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসে। এরপর অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপসহকারী পরিচালক শহিদুর রহমানের নেতৃত্বে দুদক প্রাথমিকভাবে রমিজের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে এসব সম্পদের তথ্য পায়।


আরো সংবাদ



premium cement