২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পড়বে না জানিয়ে ৫ বিদেশি শিক্ষার্থীর রাবি ত্যাগ

- ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পড়লেখা করবে না জানিয়ে ক্যম্পাসের ডরমিটরি ত্যাগ করেছে নেপালের ৫ জন শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর আব্দুল কাইয়ুম ইন্টারন্যাশন্যাল ডরমিটরির ওয়ার্ডেন অধ্যাপক ড. আশাদুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

ওই বিদেশি শিক্ষার্থীরা হলেন, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মাহাতো যার পাসপোর্ট নং-০৯৮৮১৯০১, ভিসা নং- এ ০৮৪৮৪২৮, সুজান পারাজুলি যার পাসপোর্ট নং ১০৬৪৫০৫৩, ভিসা নং এ ০৮৪৮২৯৮, মিলন কুমার মোকতার যার পাসপোর্ট নং-০৬৫৮২২৬৪ ভিসা নং-এ০৮৪৮২৯৬, বিনোদ লামিছানে যার পাসপোর্ট নং-১০৬৪৫০২৯ ভিসা নং এ০৮৪৮৫০৯ ও কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী লিলা জুং রায়া মাঝি যার পাসপোর্ট নং-০৯৮৬৬৩৯৮, ভিসা নং-এ০৮৪৮৪৩১। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন।

প্রক্টরকে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কোন অনুমতি ছাড়াই ডরমিটরি ত্যাগ করেছে তারা। বিভিন্ন রুম পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। নেপালী ছাত্র আনন্দ কুমার সাহা ওই শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে জানানো হয় তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না। এদিকে বিভাগগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা অনিয়মিত ছিল।

ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, চলে যাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকেই অনিয়মিত ছিল। বিভাগে বর্তমান দেশী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়ালেখার প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় চলে যেতে পারে।

কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. বিমল কুমার প্রামাণিকও শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে একই কথা জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না জানিয়ে ডরমিটরি ত্যাগ করার বিষয়টি আমাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বিষয়টি একাডেমিক শাখা দেখাশুনা করে। একাডেমিক শাখাকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করে ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক শাখার উপ- রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম হোসেন বলেন, এখনো আমাকে ভর্তি বাতিল করে চলে গেছে বা এখানে পড়বে না সে বিষয়ে লিখিত দেয়নি তারা। এছাড়া বিভাগ থেকেও জানানো হয়নি তারা ক্লাস করছেনা। লিখিত দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারব। তারা যদি আবার ফিরে আসে তাহলে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল