২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত 

ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত  - সংগৃহীত

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেনির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবারও তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তবে, বিকেলে শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদের দেড় ঘন্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর পরই বেলা সাড়ে ৪টা-পৌনে ৫টার দিকে ছাত্রীদের আন্দোলনের নেত্রী অনুশকা রায় তাদের কর্মসূচী স্থগিতের ঘোষনা দেন।

গত তিনদিনের স্কুলের শিক্ষাথীদের আন্দোলনের নেত্রী অনুশকা রায় ঘোষণা করেন, আমরা আন্দোলন স্থগিত করছি, শুক্রবার থেকে আমরা পরীক্ষায় অংশ নেব। তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ দাবী স্কুল কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছেন। বাকী দাবীগুলো মেনে নেয়ার ব্যাপারে আমাদের আশ্বাস দেয়া হয়েছে এবং সময়ও লাগবে।

শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র আনুশকা রায় সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার থেকে পরীক্ষা ও ক্লাসে ফিরে যেতে সব শিক্ষার্থীকে আহ্বান জানান আনুশকা।

আনুশকা রায় বলেন, আমাদের দাবি প্রায় সবগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। তবে আমাদের ছয় দফার মধ্যে ১ ও ৫ দফা তদন্তের বিষয় স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে নেই। এগুলো মন্ত্রণালয় ও সরকারের ব্যাপার, তদন্তের ব্যাপার। তবে ২, ৩, ৪ ও ৬ দফা স্কুল কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। এজন্য সময় দিতে হবে।

মোবাইল পাওয়ার অভিযোগে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়া এবং স্কুলে ডেকে নিয়ে বাবা-মাকে অপমানের পর গত সোমবার আত্মহত্যা করেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার স্কুলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে আসছিল শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। যা তিন দিন ধরে চলছিল।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সকাল থেকেই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা স্কুলের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান করে আসছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরাও মূল ফটকে অবস্থান বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে গভর্নিং বডির পদত্যাগ এবং অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার শর্ত দেয় আন্দোলনকারীরা।

এরপরই দুপুর দেড়টার দিকে স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার সাংবাদিকদের মাধ্যমে অরিত্রীর বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। প্রতিষ্ঠানের বৃহত্তর স্বার্থে প্রয়োজন হলে পদত্যাগ করতেও রাজি আছেন বলে জানান তিনি।

অরিত্রীর মৃত্যুর পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অতিদ্রুত তৎপর হয়ে তদন্ত কমিটি গঠন, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত ও এমপিও বাতিল করে।


আরো সংবাদ



premium cement