২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কোটার দাবিতে শাহবাগে অবরোধ, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ করছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। - ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক শাহবাগে অবরোধের ফলে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল, বারডেম হাসপাতালে আগত রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া মতিঝিল থেকে গাবতলী, ধানমন্ডি ও মিরপুর সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো নিউমার্কেট হয়ে চলাচল করছে।

বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর পর বুধবার রাত সাড়ে ৮টা দিকে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারা তাদের ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবি জানান।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে থাকবে না। এটা হতে পারে না। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতেও আগের মতো ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকতে হবে। নইলে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’

এদিকে দাবি আদায়ে আগামী শনিবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ মোড়ে মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আল সনেট এই তথ্য জানিয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হচ্ছে-

১. সামাজিক মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে ৷

২.মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে ৷

৩. ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিসিএসসহ সব চাকরির পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করতে হবে৷

৪. মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে৷

৫. স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও বংশধরদের চিহ্নিত করে সরকারি সব চাকরি থেকে বহিষ্কার, নাগরিকত্ব বাতিল ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে ফেরত নিতে হবে৷

৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে৷

শাহবাগ থানা পুলিশ জানান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন। আপাতত যান চলাচল বন্ধ। আমরা তাদের চলে যেতে অনুরোধ করেছি।

আরো পড়ুন: কোটা চাই আন্দোলন শুরু, শাহবাগ মোড় অবরোধ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক


বুধবার প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কোটা বহলা চাইলে আন্দোলন করতে হবে। সেই আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড। তারা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীল সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছে। অবরোধের ফলে শাহবাগে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

সরকারি চাকরির সব ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে থাকবে না। এটা হতে পারে না। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতেও আগের মতো ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকতে হবে। নইলে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’

এদিকে দাবি আদায়ে আগামী শনিবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ মোড়ে মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আল সনেট এই তথ্য জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্সের নেতৃত্বে আজ রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে শাহবাগে এসে সড়ক অবরোধ করেন।

এদিকে, আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অলিক ম্রি বলেন, ‘আগামী তিন দিনের মধ্যে আদিবাসী কোটা ৫ শতাংশ না রাখলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামব।’

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বহুদিন ধরেই আন্দোলন করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাঁদের দাবি ছিল, কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা। আন্দোলনের মুখে ২ জুলাই গঠন করা হয় কোটা সংস্কার কমিটি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের নেতৃত্বাধীন কমিটি। সচিব কমিটি মোট তিনটি সুপারিশ করেছিল। পরে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন শেষে তা আসে মন্ত্রিসভায়।

শেষে আজ সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। তবে সচিব কমিটি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরির জন্য কোটা বাতিলের ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করেনি। ফলে এ ক্ষেত্রে বর্তমানে যে নিয়ম বহাল রয়েছে, তা-ই থাকবে।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, ‘নবম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সকল নিয়োগ এখন থেকে সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে হবে।’ তিনি বলেন, সরকার সময়ে সময়ে সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে পারবে এবং তাদের জন্য কোটা নির্ধারণ করতে পারবে।’

আরো পড়ুন : আন্দোলন করলে কোটা ফেরানোর কথা ভেবে দেখা হবে : প্রধানমন্ত্রী
নয়া দিগন্ত অনলাইন  ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২০

কোটা চাই আন্দোলন করলে পুনরায় কোটা বলবদ করা যায় কিনা ভেবে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোটা চাই আন্দোলন করলে ভেবে দেখা হবে। আন্দোলন ছাড়া দিব না।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের অভিজ্ঞতা জানাতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেল চারটায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল বক্তব্য উপস্থাপনের পর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রথম প্রশ্ন করেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আজ (বুধবার)সব ধরনের কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল হবে। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে পুরোপুরি বাতিল করাটা কি একটু বেশি হয়ে গেল কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে, তখন ছাত্রছাত্রীদের ডেকে আমরা কথা কলেছি। একজন আমাকে বলেছে, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধার নাতি, কোটা চাই না। আরেক মেয়ে বলেছে, আমরা নারী কোটা চাই না। আমরা যোগ্যতা দিয়ে লড়াই করে চাকুরী নিব, কোটা চাই না। তাদের এই আত্মবিশ্বাসকে আমি স্বাগত জানাই। এই কারণেই আমি সংস্কার বাদ দিয়ে কোটা বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছি। এখন যদি আবার কেউ মনে করে কোটা প্রয়োজন। তাহলে কোটা চাই আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন করলে ভেবে দেখা হবে। আন্দোলন ছাড়া দিব না।’

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে ইভিএম ব্যাবহার করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মতামত জানতে চাইলে বলা হয়, আমি ইভিএমের পক্ষে। এই পদ্ধতি চালু হলে মোবাইলের মাধ্যমেও অনেকে ভোট দিতে পারবেন। এটা ভোট দেয়ার একটি আধুনিক পদ্ধতি।

আওয়ামী লীগের বাইরে বড় জোট গঠন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ভোট মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। এক হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভোট, দ্বিতীয়ত হচ্ছে অ্যান্টি আওয়ামী লীগের ভোট। এখন আওয়ামী লীগের বাইরের ভোট গুলো নিয়ে যদি কেউ জোট করে তাহলে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাব। তিনি বলেন, আমার এই জোট নিয়ে কোন ভয় নেই। ভয় থাকে তার যার হারাবার কিছু থাকে। আমার তো হারাবার কিছু নেই। পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমি জনগণের জন্য কাজ করি। আর ক্ষমতায় তো অনেকদিন ছিলাম। আমার কাছে ক্ষমতা থাকে লক্ষী যায় বালাই।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই নিউইয়র্কে তাঁর সফরের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সফরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।

লিখিত বক্তব্যের পর তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। জাতীয় সংসদে সম্প্রতি পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উদ্বেগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মিথ্যা কথা লেখেন না তাদের এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করে লেখা হয়, মানহানি করা হয় তাদের বিষয়টি ভাবা হয় না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এমন মিথ্যে সংবাদ যার বিরুদ্ধে করা হয় তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখার পক্ষে মত দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যার বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা লেখে তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়। তার কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু যার ক্ষতি হলো তার কী হবে। আমাদের উদ্বেগ কে দেখবে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও যদি অপরাধী মন না থাকে তবে তার উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এর আগে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি (নিরাপত্তা) প্রত্যেক দেশে বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সেখানে সামাজিক, পারিবারিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, পর্ণ এসব ছড়াচ্ছে। আমরা সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছি।’

নিউইয়র্কে ছয় দিনের সফরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি এ সংকট সামাল দিয়ে দূরদর্শী ভূমিকার জন্য নিউইয়র্কে দুটো সম্মাননা পান শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে সফরের দ্বিতীয় দিন ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শরণার্থী সংকট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে শেখ হাসিনা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনটি প্রস্তাব বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন।

সাধারণ পরিষদে ভাষণের আগে ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘পূর্ণ সমর্থন ও সব ধরনের সহযোগিতার’ প্রতিশ্রুতি দেন।

ঢাকা থেকে গত ২১ সেপ্টেম্বর রওনা হয়ে দুদিন লন্ডনে কাটিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। আর গত সোমবার তিনি দেশে ফেরেন।


আরো সংবাদ



premium cement