শুক্রবার ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
- ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:২৮, আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৩৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) থেকে শুরু হচ্ছে। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় গ-ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে এবছরও ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। সে অনুযায়ী এবারের গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শুরু হবে। এক ঘন্টার এ পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
উক্ত ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরের মোট ৫৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পাসের বাইরের কেন্দ্রগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ। এবারে গ-ইউনিটে ১ হাজার ২৫০টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৬০জন। প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ২১ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে চারুকলা অনুষদভুক্ত চ-ইউনিটের অধীনে ১ম বর্ষ বিএফএ সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। উক্ত ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদসহ ক্যাম্পাসের মোট ১৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
চ-ইউনিটে ১৩৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৮০জন। প্রতি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রায় ১২২ জন। আসনের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রয়েছে এই ইউনিটটিতে। অন্যান্য ইউনিটের তুলনায় কম শর্ত থাকায় এমন হয়ে থাকে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পরীক্ষার দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ডাউনলোডের সুযোগ থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার সিট-প্ল্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
এদিকে, জালিয়াতি রোধে পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনসহ টেলিযোগাযোগ করা যায় এরূপ কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা চলাকালীন ভ্রাম্যমান আদালত দায়িত্ব পালন করবে।
উল্লেখ্য, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, ঘ-ইউনিটের ১২ অক্টোবর এবং চ-ইউনিটের (অংকন) ২২ সেপ্টেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুন: ঢাবির সেই বিতর্কিত নিয়োগ আটকে দিলো সিন্ডিকেট
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর নোটিশ দিলেও যোগদান না করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আটকে দেয়া হয়েছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেই বিতর্কিত প্রার্থীর নিয়োগ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ৫১তম সমাবর্তনের পূর্বনির্ধারিত বক্তা পরিবর্তন হয়েছে।
সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সিন্ডিকেটের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
চাকরি হারানো দুই শিক্ষক হলেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাশফিকুর রহমান খান ও উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রভাষক তামান্না আফরিন রিমি।
একই ইস্যুতে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে চাকরিতে যোগদান করতে ৮ সপ্তাহের সময় দেয়া হয়েছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠায় একজনের নিয়োগ বাদ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী বোর্ড সিন্ডিকেট। এর আগে এ নিয়োগের অসঙ্গতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয় দৈনিক নয়া দিগন্তে।
নিয়োগে বাদ পড়া প্রার্থীর নাম এস এম ফাইজুল হক ইশান। তার থিসিস সুপারভাইজার ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তাকে বিভাগ কর্তৃক ইচ্ছাকৃত শিক্ষক বানানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে বাকি নিয়োগপ্রার্থীদের অভিযোগ ছিল।
সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের সভা বসে। রাত ৯টায় এ সভা শেষ হয়। সভায় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ইশানের এ নিয়োগ বাদ দেন। তবে বাকি দুজনকে প্রভাষক পদে স্থায়ী নিয়োগ দিয়েছে সিন্ডিকেট।
নিয়োগপ্রাপ্ত সে দু’জন হলেন- ইসরাত জাহান ইয়ামুন ও ওয়াসিফা তাসনীম শাম্মা। তাদের মধ্যে ইয়ামুনের অনার্স ও মাস্টার্সের সিজিপিএ যথাক্রমে ৩ দশমিক ৭৪ ও ৩ দশমিক ৮৮, ওয়াসফিয়া শাম্মার সিজিপিএ যথাক্রমে ৩ দশমিক ৭২ ও ৩ দশমিক ৮৩। তারা দুজনই অনার্স ও মাস্টার্সে মেধাক্রমে প্রথম।
অন্যদিকে সমাবর্তন বক্তা নির্ধারণ করা হয়েছে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের ‘সমাবর্তন বক্তা’ হিসেবে লাইবেরিয়ার নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত মিজ. লেমাহ গবায়েইকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। উক্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাকে ডক্টর অব লজ ডিগ্রি প্রদানেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে অনিবার্য কারণে মিজ. লেমাহ সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান নয়া দিগন্তকে বলেন, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের উক্ত প্রার্থীকে নিয়ে বিতর্ক উঠলে তা আটকে দেয় সিন্ডিকেট। পাশাপাশি দুই প্রভাষকে এর আগে বেশ কয়েকবার চাকরিতে যোগদানের জন্য বলা হলেও তারা আসেননি। ফলে সিন্ডিকেট সর্বসম্মতিক্রমে তাদের অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা