২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘আমার মেয়েসহ অনেককে যৌন উত্যক্ত করেন ওই শিক্ষক’

‘আমার মেয়েসহ অনেককে যৌন উত্যক্ত করেন ওই শিক্ষক’ - ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজের মেয়েসহ অন্য মেয়েদের যৌন উত্যক্ত করার অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। গত ১৫ জুলাই অভিযোগপত্রটি ইবি প্রশাসনের হাতে এসে পৌঁছে। অভিযোগপত্রে নিজ বিভাগের শিক্ষকের তার মেয়েকে উত্যক্তের বিচার দাবি করেছেন ছাত্রীর বাবা জাহাঙ্গীর আলোম। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ।

সম্প্রতি ইবির ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর ওপর মানুষিক চাপ ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে। ক্রমাগত চাপের একপর্যায়ে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে হল প্রশাসন। পরে ওই ছাত্রীর বাবা লিখিত অভিযোগ করলে, প্রশাসন অভিযোগপত্রটি ইবির নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে দিয়েছে বলে জানা যায়।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আমার মেয়ে পুতুল (ছদ্মনাম) মানসিক ভারসাম্য হারানোর মূল কারণ হলো ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সরকার তাকে মানসিক নির্যাতন এবং প্রাণনাশের হুমকিসহ আরো খারাপ ধরনের আচরণ করেছে। মৌখিক পরীক্ষায় শান্তাকে চরমভাবে মানসিক হেনেস্তা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ওই অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে এর আগেও বাড়িতে এসে বড় মেয়ের কাছে ওই শিক্ষকের খারাপ চরিত্র সম্পর্কে অভিযোগ করেছিল। পুতুল বলেছিল, তাকেসহ অন্যান্য বিভাগের অনেক মেয়েকে তিনি যৌন উত্যক্ত করেন। শিক্ষক সঞ্জয় কুমারের অসৎ চরিত্র এবং কুপ্রকৃতির প্রতিবাদ করায় সে পুতুলকে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ কালে তার সঙ্গে হিংস্র স্বভাবের আচরণ করে এবং লিখিত পরীক্ষায় তাকে ফেল করিয়ে দেয়। শিক্ষকের পশুসুলভ আচরণে আমার এতিম ‘মা’ হারা মেয়েটি হাসপাতালের বেডে যত্রতত্র যথারীতি প্রলাপ বকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বর্তমানে আমার মেয়ে বারবার শিক্ষক সঞ্জয় কুমারের হুমকির কথা এবং তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা কথা মনে করে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। আমি শান্তার অসুস্থ পিতা উক্ত অপরাধের সঠিক বিচার এবং প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এর জন্য আবেদন করছি।

অভিভাবকের আবেদন

ওই অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী পুতুলের পিতা আরো বলেন, ‘আমার মেয়েকে মানসিক নির্যাতন এবং প্রাণনাশের হুমকির দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করছি। যাতে আমার মেয়ের মতো আর কোনো মেয়ের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাসপাতালের বেডে মাথা ঠুকে মরতে না হয়।’

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, ‘মেয়ের বাবার অভিযোগ পত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী নিপীড়ন ও নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ সেল গ্রহণ করবে।’

গতিহীন ওয়াইফাই, ইবির আবাসিক হলে তালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ওয়াইফাই সংযোগ থাকলেও কনোন গতি নেই। কোনো কিছুই সার্চ করা যায় না। এমন অভিযোগ এনে হল প্রভোস্টের কক্ষে তালা দিয়েছে সাদ্দাম হোসেন হলের শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তালা দিয়ে প্রভোস্টের কক্ষের সামনে অবস্থান নেয় তারা।

এছাড়া হলের ভেতরে এবং আশপাশে জঙ্গল হওয়াতে সাপ পোকার উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ সত্য হলেও এই ঘটনাকে আই ওয়াশ হিসেবে দেখছেন অনেকে। মূলত হলে অবস্থানরত ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন হল প্রশাসনের কাছে টাকা দাবি করেছিল। কিন্তু হল প্রশাসন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এ কৌশল নিয়েছে। তবে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সাদ্দাম হলের ওয়াইফাই আসলেই গতিহীন।


আরো সংবাদ



premium cement