২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে বেশি

শিক্ষা
প্রতিকী ছবি - ছবি: সংগৃহীত

উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ১০ বিভাগের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার সবচেয়ে বেশি। ১০ শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। তবে এর মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা বোর্ডের প্রধানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন।

এ সময় জানানো হয়েছে, এ বছর মোট পাস করেছে আট লাখ ৫৮ হাজার ১০১ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন।

এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল মোট ৯৭ হাজার ৭৯৩ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ৭৬ হাজার ৯৩২ জন। পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক হাজার ২৪৪ জন।

গত বছর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছিল ৯৬ হাজার ৮০২ জন। এর মধ্যে পাস করেছিল ৭৪ হাজার ৫৬৪ জন। গতবারের চেয়ে এবার দুই হাজার ৩৭১ জন বেশি পাস করেছে। গত বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আর এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ বোর্ডে পাসের হার বেড়েছে এক দশমিক ৬৫ শতাংশ। তবে গতবার জিপিএ ৫ পেয়েছিল এক হাজার ৮১৫ জন। এবার ৫৭১ জন কম জিপিএ ৫ পেয়েছে।

আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির দেয়া তথ্যানুসারে, এবার (২০১৮ সালে) এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে এক লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) এক লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন এবং ডিআইবিএসে ৯৬৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী। ঢাকার বাইরে বিদেশের(মধ্যপ্রাচ্যের) সাতটি কেন্দ্রে ২৯৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। গত ২ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত এইচএসসির তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা, আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়।

বিগত কয়েক বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগের (ফেসবুকসহ) বিভিন্ন মাধ্যমে ফাঁস হলেও এবার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়াই শেষ হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষা।

ফলাফল যেভাবে জানা যাবে
বেলা ১টার পর স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে এবং নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডগুলোর নিজস্ব সাইটে ফলাফল উন্মুক্ত করা হবে। বোর্ডের ওয়েবসাইটের ঠিকানা হচ্ছে (http:/www.dhakaeducationboard.gov.bd)।

এ ছাড়া অন্যান্য বরাবরের মতো যেকোনো মোবাইল থেকে এসএসএম করে পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এ জন্য মোবাইলে ম্যাসেজ অফশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএস-এ ফল জানিয়ে দেয়া হবে।

একইভাবে মাদরাসা বোর্ডের আলিমের ফল জানতে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেয়া হবে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও বোর্ডগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের ফল অবহিত করবে। কোনো ধরনের কাগজ বা লিখিত কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে না ফল অবহিত করতে।

প্রকাশিত ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন শুক্রবার থেকেই
বরাবরের মতো সরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানী ‘টেলিটক ’ থেকে শুক্রবার ২০ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসি আলিম ও সমমানের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃবোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার।

ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএ-এস ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর - PIN) দেয়া হবে।

আবেদনে সম্মত থাকলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। পুনঃনিরীক্ষার আবেদনে প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য দেড় শ’ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে যে সকল বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ৩০০ টাকা ফি কর্তন করা হবে। একই এসএমএস-এ একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement