২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘যারা শিক্ষকদের উপর আঙ্গুল তুলে শাসায় তারা মানুষ নয়’

‘যারা শিক্ষকদের উপর আঙ্গুল তুলে শাসায় তারা মানুষ নয়’ - ছবি : নয়া দিগন্ত

রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানান।
সোমবার ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তারা এ আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খানসহ অন্য সকল শিক্ষকের লাঞ্ছনার প্রতিবাদ ও লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিভাগের সহোযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান, সহকারী অধ্যাপক সায়েমা আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক শেখ সামস মোরসালিন, প্রভাষক মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, গতকাল শহীদ মিনারে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। যারা শিক্ষকদের উপর আাঙ্গুল তুলে শাসায় তারা মানুষ নয়। এসময় তিনি শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণকারী ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আবার তোরা মানুষ হ।

মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষকদের উপর আঙ্গুল তুলেছে সরকার দলীয় একটি বিশেষ সংগঠন (ছাত্রলীগ)। তারা ছাত্র কিনা বা তারা তাদের সংগঠনের নীতি-আদর্শ মানে কিনা তা আমার জানা নেই। আর যারা শিক্ষকদের উপর আঙ্গুল তুলেছে তারা যে গর্হিত কাজ করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তারা ছাত্র নামের কলঙ্ক। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

বিভাগের শিক্ষার্থী সৌমি বলেন, তানজীম স্যার আমাদের কাছে বাবার মতো। একটি ন্যায্য দাবিতে দাঁড়ানোর কারণে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। শুধু তার উপরে নয়; অন্য যে সকল শিক্ষক ছিলেন তারাও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তাদের উপর আঙ্গুল তোলার সাহস ছাত্রলীগ কোথা থেকে পায়? এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই।

সমাবেশ শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন হয়ে, ডাকসু, কলা ভবন, অপরাজেয় বাংলা প্রদক্ষিণ করে আবার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লাকার্ড দেখা যায়। তা হলো- ‘শিক্ষকের মর্যাদা আজ কোথায়‘, ‘এবার তোরা ছাত্র হ’, ‘শিক্ষক আজ লাঞ্ছিত কেন?’ ‘আমার ক্যাম্পাস কার দখলে’, ‘মূল্যবোধ আজ কোথায়?' ইত্যাদি।

এদিকে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিছিলের পেছনে ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিদার মোহাম্মদ নিজামুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে যেতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন :

কোটা সংস্কার আন্দোলন নেতা তারেকের সন্ধান চায় পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো: তারেক রহমানের সন্ধান চায় তার পরিবার। আজ সোমবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনাতনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারেকের বাবা আব্দুল লতিফ ও মা শাহানা বেগম এ ছেলের সন্ধান চান।

তারেকের বাবা বলেন, গত ১৪ জুলাই শনিবার বিকেলে তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। সন্ধ্যার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এখনো তার কোনো সন্ধান মেলেনি। তারেক বলেছিল, সাদা পোশাকে লোকজন তাকে ফলো করছে। গতকাল রাতে শাহবাগ থানায় যোগায়োগ করা হলে পুলিশ জানিয়েছে তারা তদন্ত করছেন। এ সংক্রান্তে আজ জিডি করবেন তিনি।

আব্দুল লতিফ বলেন, তারেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাষ্টার্স শেষ করে ঢাকায় কনফিডেন্স কোচিংয়ে পড়তো। চাকরির জন্য ন্যায্য দাবি নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয় সে। তবে তাকে আমরা নিষেধ করেছিলাম। তারেক ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত রয়েছে। তিনি সরকারের কাছে ছেলের সন্ধান দাবি করেন।

অশ্রসিক্ত নয়নে মা শাহানা বেগম বলেন, আমার ছেলে কোন অন্যায় করেনি। তাকে কে বা কারা কেন নিয়ে যাবে। কেন নিখোঁজ থাকবে তার ছেলে। ছেলের ছবির ধরে কাঁদছিলেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।


আরো সংবাদ



premium cement