'হামলাকারীরা চিহ্নিত কিন্তু বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না'
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
- ১১ জুলাই ২০১৮, ১৫:৩৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলেছেন, সাধারণ ছাত্ররা হামলার শিকার হয়েও তাদের আবার গ্রেফতার করা হচ্ছে, রিমান্ডের নামে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। কিন্তু অপরাধীরা চিহ্নিত হলেও তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে করা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে তারা এ কথা কলেন। দুপুর ১২ টার দিকে ঢাবির মোকাররম ভবন এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা 'হাতুড়ির স্থান পেরেকের উপর ছাত্রের উপর নয়', 'ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা চাই', 'আমার ক্যাম্পাসে আমি নিরাপদ তো?', 'ছাত্র আপনার, দায় নেবেন না কেন?' ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানবন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, ফাহমিদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজিমউদ্দিন খান, অর্থনীতি বিভাগের রুশাদ ফরিদী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন অনেক দিন হল চলছিল। এটা ছিল ছাত্রদের আন্দোলন। আমরা এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তখনি পাশে দাঁড়িয়েছি যখন ছাত্রদের উপর হামলা হয়েছে। আমরা সচেতনভাবে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা দেখছি, যাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। আর যারা নিপীড়ক, হামলাকারী তারা সবাই চিহ্নিত কিন্তু তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না।
ঢাবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতি তাদের নিজস্বতা হারিয়ে সরকারী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার যেদিকে অবস্থান নেয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতি সেই দিকে অবস্থান নেয়। তারা নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা যারা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এই রোদে দাঁড়িয়ে আছি, তাদের অনেক একাডেমিক কার্যক্রম রয়েছে। আমরা এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে চাই না। সরকারকে বলব ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়ে আমাদের ক্লাসে ফিরতে সাহায্য করুন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এই আন্দোলনে ইন্ধন দিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্য ছাত্রদের আন্দোলন করার জন্য ইন্ধন দিচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ই আমাদের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র ভুল করতে পারে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকরা ভুল করতে পারে না।
ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ঘোষণা দিলেন কোটা থাকবে না, তখন আপনারা আনন্দ মিছিল করলেন। বললেন আপনারা আগে ছাত্র, পরে লীগ। কিন্তু যখন ছাত্ররা প্রজ্ঞাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করতে গেল তখনি হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালালেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা